কলকাতা: গতবার আইপিএলে ভাল পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিলেন তিনি। সেবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। এবারও এসেছেন। তবে এবারের কারণটা নিজেও ভুলতে চাইবেন যশ নিজেই। একটা ওভার তাঁর জীবনে যেন আঁধার এনে দিয়েছে। এখনও সেই বিভীষিকার থেকে বেরোতে পারেননি হয়ত। ইডেনে আগামীকাল কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে নামবে গুজরাত টাইটান্স। তার আগে এদিন ইডেনে এবিপি লাইভের ক্যামেরা খোঁজার চেষ্টা করছিল যশকে। তিনি এলেন, চুপচাপ অনুশীলন সারলেন...নিঃশব্দে বেরিয়ে গেলেন মাঠ থেকে। প্রয়াত আয়ুব বাচ্চুর বিখ্যাত গান নিঃস্ব করেছ আমায়...গানটা যশ শোনেননি। শুনতে হয়ত আজ এভাবেই নিজের পরিস্থিতিকে মেলাতে পারতেন। 

Continues below advertisement

কিছুদিন আগেই গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য জানিয়েছিলেন যে যশ নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেই ম্যাচের পর। তাঁর ওজনও নাকি ৭-৮ কেজি কমে গিয়েছে। এদিন যদিও অনুশীলনে এলেন তিনি। কিছুক্ষণ স্ট্রেচিংয়ের পর হালকা বলও করলেন। কোচ আশিস নেহরা নেটে কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ যশের সঙ্গে কথাও বললেন। মাঠের একধারে গুজরাতের অনুশীলন তো আরেকধারে নাইটরা তখন অনুশীলন সারছে। সেখানে যদিও এদিন আসেননি রিঙ্কু। যশ কি একবারও খুঁজছিলেন তাঁকে? রিঙ্কু আগামীকালের ম্য়াচে খেলবেন, কিন্তু যশ হয়ত খেলবেন না।  

যদিও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে গুজরাত টাইটান্সের উইকেট কিপার ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা বলে গেলেন যে, ''যশ এখন মানসিকভাবে সুস্থই আছে। তাঁর শরীর আগে থেকেই খারাপ ছিল। পারফরম্যান্সের জন্য আলাদা করে কিছু প্রভাব পড়েনি। তবে দল ওর পাশে সবসময় রয়েছে।''

Continues below advertisement

যশ আবার কবে মাঠে ফিরবেন জানা নেই। তবে এদিন যখন মাঠ ছাড়ছেন কয়েকজন ক্যামেরাম্যান তাঁর ছবি নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যশ তড়িঘড়ি ড্রেসিংরুমে ঢুকে গেলেন। হয়ত বাইরের দুনিয়ার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছেন যশ। ২২ গজে নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই কামব্যাকের অপেক্ষা করছেন এই পেসার।

দেশে ফিরলেন লিটন

 কেকেআরের তরফে জানানো হয়েছে, পরিবারে কোনও অসুস্থতা সংক্রান্ত আপদকালীন পরিস্থিতি (মেডিক্যাল এমার্জেন্সি) তৈরি হওয়ায় দেশে ফিরে গিয়েছেন লিটন। কবে ফিরবেন, কিছু জানাননি।

এবারের আইপিএলে একটিই ম্যাচ খেলেছিলেন লিটন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে জঘন্য শট খেলে আউট হয়েছিলেন। বড় রান পাননি। উইকেটের পিছনেও সহজ স্টাম্পিংয়ের সুযোগ নষ্ট করেন। যা নিয়ে কেকেআর শিবিরেও প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ব্রেন ফেড হয়েছে লিটনের। তারপর থেকে তিনি প্রথম একাদশের বাইরে।