কলকাতা: কলকাতার সঙ্গে আফগানিস্তানের যোগ নতুন নয়। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসার কাজে কলকাতায় আসছেন কাবুলিওয়ালারা। তাঁদের নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প আজও বাঙালিদের প্রিয়। সেই কলকাতায় আজ দাপট দেখালেন এক আফগান তরুণ। ইডেন দেখল রশিদ খানের অসাধারণ পারফরম্যান্স। ব্যাটিং, ফিল্ডিংয়ের মতোই বল হাতেও কামাল করলেন রশিদ। তাঁর এই পারফরম্যান্সের সুবাদেই আইপিএল-এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৩ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার ফাইনালে রশিদদের সামনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।


উত্তেজক ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য কেকেআর-এর দরকার ছিল ১৯ রান। ক্রিজে ছিলেন শুভমান গিল ও শিবম মাভি। বল করতে আসেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন শিবম। পরের বলেই অবশ্য তিনি ক্যাচ আউট হয়ে যান। ক্যাচ নেন সেই রশিদ। এরপর ক্রিজে আসেন কুলদীপ যাদব। তৃতীয় বলে আউট হন শুভমান। এবারও ক্যাচ নেন রশিদ। পরের দু’বলে কোনও রান করতে পারেননি কুলদীপ। তিনি শেষ বলে এক রান নেন। ফলে জিতে যায় হায়দরাবাদ।

আজ টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। হায়দরাবাদ ৭ উইকেটে ১৭৪ রান করে। ঋদ্ধিমান সাহা ৩৫, শিখর ধবন ৩৪ ও শাকিব আল হাসান ২৮ রান করেন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যান রশিদ। এতদিন বল হাতে তাঁর ভেলকি দেখা গিয়েছে। কিন্তু তিনি যে মারকুটে ব্যাটসম্যানও, সেটা দেখা গেল আজ। তিনি ১০ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা ও দু’টি বাউন্ডারি। ঋদ্ধিমান যখন আউট হয়ে যান, সেই সময় মনে হয়নি এত রান করতে পারবে হায়দরাবাদ। কিন্তু ইনিংসের রং বদলে দেন রশিদ। পরে ম্যাচের রংও বদলে দেন তিনিই।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল কেকেআর। ক্রিস লিন ৪৮, সুনীল নারিন ২৬, নীতীশ রানা ২২ রান করেন। কিন্তু রশিদ আক্রমণে এসেই লিন, রবিন উথাপ্পা (২) ও আন্দ্র্রে রাসেলকে (৩) আউট করে কেকেআর-কে চাপে ফেলে দেন। শেষদিকে শুভমান ৩০ রান করলেও, ততক্ষণে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছিল হায়দরাবাদ। শেষপর্যন্ত কেকেআর ৯ উইকেটে ১৬১ রান করে।