নয়াদিল্লি: মইন আলির বলে আলেক্স হেলসের শট বাউন্ডারির দিকে উড়ে যাচ্ছিল। সবাই তখন ধরেই নিয়েছেন বল অবধারিতভাবে একেবারে সীমানা টপকে গ্যালারিতেই পড়বে। কিন্তু অন্য রকম কিছু ভেবে নিয়েছিলেন বাউন্ডারির ধারে বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যাসেঞ্জার্সের ফিল্ডার এবি ডিভিলিয়ার্স। শূন্যে লাফিয়ে বলটাকে যেন টেনে এনে তালুবন্দী করলেন তিনি। তারপর শরীরের অসাধারণ ভারসাম্য রেখে নিজেকে মাঠের মধ্যেই রাখতে সমর্থ হলেন। আউট হেলস। কিন্তু ততক্ষণে বিস্ময়ের ঘোর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। এই দুরন্ত ক্যাচ দেখে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু এবিকে অভিনন্দন জানাতে তিনি যখন ছুটে আসছিলেন, তখন তাঁর চোখে-মুখে উচ্ছ্বাসের চেয়ে বেশি দেখা গেল বিস্ময়। এক কথায় অবিশ্বাস্য, দর্শনীয় ক্যাচ ধরে হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে নিজের দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনলেন ডিভিলিয়ার্স।



ডিভিলিয়ার্সের এই দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের পরও উচ্ছ্বসিত কোহলি। তাঁর ট্যুইট, আজ জীবন্ত স্পাইডারম্যান দেখলাম।



গতকাল আইপিএলের ম্যাচের শেষ দু ওভারে বোলিংয়ের দাপটে হায়দরাবাদকে ১৪ রানে হারিয়ে প্লেঅফে ওঠার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে বেঙ্গালুরু।

হায়দরাবাদ টসে জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠায়। এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে শক্তিশালী বোলিং অ্যাটাককে বিধ্বস্ত করে কোহলির দল ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ২১৮ রান। হায়দরাবাদ লড়াই করে। কিন্তু নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০৪ রানেই থামতে হয় তাদের।
এই ম্যাচে এমন দুটি ক্যাচ দেখা গিয়েছে, যেগুলি এক কথায় অবিশ্বাস্য। শূন্য লাফিয়ে উঠে এভাবে ক্যাচ ধরাটা কার্যত অসম্ভবের সামিল।

জয়ের জন্য ২১৯ রানের লক্ষ্যে সামনে রেখে খেলতে শুরু করে শিখর ধবন (১৮) ও আলেক্স হেলস (৩৭) ৪৭ রান তোলেন। এরপর ধবন আউট হয়ে যান। কিন্তু এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন হেলস।৮ ওভারে দলের স্কোর পৌঁছে যায় ৬৪ রানে। এরপরই হেলসের ওই ক্যাচ ধরেন ডিভিলিয়ার্স।
বোলার মইন আলিও বলেছেন, এমন ক্যাচ তো শুধু এবি-ই নিতে পারেন।