চেন্নাই: ১৭৬ রানের টার্গেট খুব বেশি ছিল না। প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর বরং ম্যাথু হেডেন মনে করছিলেন চিপকের এই পিচে ১৫-২০ রান কমই উঠেছিল। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্পিনাররা সব হিসেব নিকেশ বদলে দিলেন। শাহবাজ আমেদ (Shahbaz Ahmed) এবং অভিষেক শর্মার (Abhishek Sharma) বাঁ-হাতি স্পিন বোলিংয়ে কুপোকাত রাজস্থান রয়্যালস। দুই স্পিনার নিজেদের আট ওভারে যুগ্মভাবে ৪৭ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট নেন। তাঁদের দৌরাত্ম্যেই কোয়ালিফায়ার ২-এ (IPL 2024 Qualifier 2) ৩৬ রানে জয় পেয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আইপিএলের ফাইনালে নিজেদের জায়াগা পাকা করে নিল সানরাইজার্স। ধ্রুব জুরেল (Dhruv Jurel) লড়াকু অর্ধশতরানেও রাজস্থানকে জেতাতে পারলেন না।
এদিন ইনিংসের শুরু থেকেই রাজস্থানকে বেঁধে রাখতে সচেষ্ট ছিলেন সানরাইজার্সের বোলাররা। টম কোলার-ক্যাডমোর তো শুরু থেকেই বল ঠিক করে টাইমই করতে পারছিলেন না। এই পিচে যে মন্থর গতির বলই সাফল্য আনবে, তা শুরু থেকেই বুঝে সেইমতোই বোলিং করছিলেন সানরাইজার্স বোলাররা। ক্যাডমোরকে ১০ রানে আউট করেন ক্যাপ্টেন কামিন্স। তিনে নামা সঞ্জু স্যামসনেরও একই হাল। তবে আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালকে দেখে পিচ যে এত কঠিন, তা বোঝা দায়। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শাহবাজ নিজের প্রথম ওভারেই বল হাতে তুলে নিয়ে ৪২ রানে যশস্বীকে ফেরান। এই উইকেটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
পরের ওভারেই সঞ্জু স্যামসনকে ফেরান অভিষেক। গোটা টুর্নামেন্ট রিয়ান পরাগের জন্য অনেকটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে। কিন্তু আজ তিনিও ব্যর্থ। ছয় রানে শাহবাজের শিকার হন রিয়ান। প্রমোশন পেয়ে ছয়ে নামা অশ্বিন তো খাতাই খুলতে পারেননি। ৭৯ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজস্থান। এমন পরিস্থিতিতে বাকি দলগুলি চাপে পড়লেও, রাজস্থানের কিন্তু তখনও আশার যথেষ্ট কারণ ছিল। সাজঘরে তখনও যে রোভম্যান পাওয়েল ছিলেন। আর ক্রিজে ধ্রুব জুরেলকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য নামেন শিমরন হেটমায়ার।
তবে আজ পাওয়েল বা হেটমায়ার কেউই রান পাননি। তাঁদের সংগ্রহ যথাক্রমে চার ও ছয় রান। রাজস্থানের লম্বা লাইন আপ সানরাইজার্সের রানের আশেপাশেও পৌঁছতে পারল না। তবে নজর কাড়লেন ধ্রুব জুরেল। যেখানে অপরপক্ষ থেকে পরপর উইকেট পড়ছে, নটরাজনের বল তাঁর হেলমেটে আঁছড়ে পড়ছে, তখন নিজের বয়স আন্দাজে অনেক বেশি পরিপক্কতা দেখিয়ে ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন কিপার-ব্যাটার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দলকে জেতাতে পারলেন না। অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলে ট্র্যাজিক হিরোই হয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: আগামী বছরও আইপিএলে খেলবেন ধোনি? বড় বয়ান সিএসকের সিইওর