নয়াদিল্লি : হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ২০ রানে জয়লাভ ঋষভ পন্থ অ্যান্ড কোম্পানির। ২০১ রানে থমকে গেল রাজস্থান রয়্যালসের স্কোরবোর্ড। আর এই জয়ের হাত ধরে মূল্যবান দুই পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল DC। সঙ্গে সঙ্গে ঢুকে পড়ল চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও লখনউয়ের দলের সঙ্গে পয়েন্টের লড়াইয়ে। এই দলগুলি ইতিমধ্যেই ১২ পয়েন্ট নিয়ে বসে রয়েছে। তবে, এই দলগুলির থেকেও একটি ম্যাচ বেশি খেলে ফেলেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
আইপিএলে শতরানের জন্য প্রায় দুই বছরের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছিল। কিন্তু, শেষমেশ হল কই ? দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ২২২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সামনে থেকে ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। চলতি মরসুমের পঞ্চম অর্ধ শতরান অবশ্য তুলে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। কিন্তু, ১৬ তম ওভারে ৮৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তিনি।
মুকেশ কুমারকে তুলে মারলেও লং-অনে সাই হোপের তালুবন্দি হন স্যামসন। দড়ির মধ্যে যিনি কোনওক্রমে নিজেকে থামিয়ে নেন। অন-ফিল্ডের আম্পায়ার আউট চেক করার জন্য থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠান। যিনি দেখতে পান সেটা পরিষ্কার ক্যাচ। যদিও হোপের ডান পা স্পর্শ করে থাকতে পারে বাউন্ডারির দড়ি, এমন একটা বিতর্ক রয়েছে। স্যামসনকে আউট দেখানো হয় বড় স্ক্রিনে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য স্যামসন সন্তুষ্ট ছিলেন না। অন-ফিল্ড আম্পায়ারের কাছে গিয়ে এনিয়ে তিনি কথায় জড়িয়ে পড়েন। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত রিউিভয়ের জন্য অনুরোধ জানাতে থাকেন। যদিও তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। শেষমেশ ৪৬ বলে ৮৬ রান তুলে ফিরতে হয় তাঁকে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। দিল্লির হয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেন অভিষেক পোড়েল। ৩৬ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। ২০ বলে ৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগ্রুক। ডিসির হয়ে আর উল্লেখযোগ্য স্কোর বলতে স্টাবসের। ২০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। মোট ২২১ রান তোলে ঋষভ পন্থের দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত যশস্বী জয়সওয়াল ও জস বাটলারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। ১১ তম ওভারে আউট হয়ে যান রিয়ান পরাগও। সঞ্জু স্যামসন হাল ধরলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। পরে তিনিও আউট হয়ে যান। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি রাজস্থান।