একটি সাক্ষাৎকারে শামি বলেছেন, ‘আমাদের ড্রেসিংরুমের আবহটা চমৎকার। সকলেই খুশি। একে অপরের দক্ষতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে কয়েকটা ম্যাচ ভীষণ অল্প ব্যবধানে হেরেছিলাম। যেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমরা কেউই প্রত্যাশা করিনি। তবে দলের সকলে এখন খুব ইতিবাচক রয়েছে। আমরা মাঠে নেমে পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছি। বাকি ম্যাচগুলোতেও এভাবেই খেলতে চাই।’
চলতি আইপিএলে নিখুঁত ইয়র্কারে ব্যাটসম্যানদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন ডানহাতি পেসার। শামি বলছেন, ‘দেশের হয়ে দীর্ঘদিন খেলছি। সেখানে অনেক বেশি চাপ সামলাতে হয়। সেখানে যদি নিখুঁত ইয়র্কার দিতে পারি, তাহলে আইপিএলের মতো ছোট ফর্ম্যাটে অভ্রান্ত নিশানায় ইয়র্কার না করার কারণ নেই। নিজের দক্ষতায় আস্থা রয়েছে। রান আপ ধরে দৌড়নোর সময় ছক্কা খেয়ে যাওয়ার ভয়ে ইয়র্কার করব না, এরকম কিছু ভাবিনি কখনও। সব সময় খারাপটা ভেবে রাখি। তাতে ভয় কেটে যায়।’
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মাত্র ৫ রানের পুঁজি নিয়েও সুপার ওভারে দুরন্ত বল করেছিলেন শামি। আটকে দিয়েছিলেন চারবারের চ্যাম্পিয়নদের। শামি বলছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে ৫ রানের পুঁজি রক্ষা করাটা কঠিন। একটা আলগা বল আর ব্যাটসম্যান ছক্কা মেরে দেবে। সেই সঙ্গে রোহিত শর্মা আর কুইন্টন ডি’কক দুরন্ত ফর্মে ছিল। তবে আমি নিজের দক্ষতায় আস্থা রেখেছিলাম। রাহুল (কে এল রাহুল) জিজ্ঞেস করেছিল, কী করতে চাও। আমি বলেছিলাম ৬টা ইয়র্কার দেব। একটার পর একটা ইয়র্কার দিয়েছি আর আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ। আর এক ম্যাচে দুটো সুপার ওভার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
২৩ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপের দৌড়ে সকলের আগে কাগিসো রাবাডা। শামির ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত ২০ উইকেট। রাবাডাকে পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কী বলবেন? শামি বলছেন, ‘আমি ওসব নিয়ে ভাবছি না। আমার লক্ষ্য উইকেট নেওয়া। পার্পল ক্যাপ পেলাম কী পেলাম না তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই।’