আবু ধাবি: রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়ল চেন্নাই সুপার কিংস। ওপেনিংয়ে নেমে ঝোড়ো সেঞ্চুরি হাঁকালেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড। স্লগ ওভারে চালিয়ে খেললেন রবীন্দ্র জাদেজা। নির্ধারিত ২০ ওভারে এদিন মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৮৯ রান তুলে নিল সিএসকে।
এদিন প্রথমে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। দু দলই এদিন একাদশে কিছু বদল এনেছিল। ব্যাট হাতে নেমে প্রথম থেকেই ঝড়ের গতিতে রান তোলা শুরু করেন সিএসকের ২ ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড ও ফাফ ডু প্লেসি। চলতি আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন ঋতুরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে প্রতি ম্যাচেই ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে বড় রান বোর্ডে যোগ করছেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। সিএসকের প্রথম উইকেট হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফাফ ডু প্লেসি। ২টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৯ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ফাফ। কিন্তু প্রোটিয়া তারকা ফিরলেও থামানো যায়নি ঋতুরাজকে। ৬০ বলে ১০১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন সিএসকের তরুণ ওপেনার। নিজের ইনিংসে হাঁকালেন ৯টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা।
এছাড়াও এই ইনিংস খেলার সঙ্গে সঙ্গে এবারের আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিকও হয়ে গেলেন তিনি। টপকে গেলেন কে এল রাহুলকে। এই মুহূর্তে ১২ ম্যাচে সিএসকে ওপেনারের সংগ্রহ ৫০৮ রান। মাত্র ২৪ বছর ২৪৪ দিন বয়সে এছাড়াও সিএসকের জার্সিতে সবচেয়ে কনিষ্ঠতম ওপেনার ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ঋতুরাজ।
রায়না ও রায়ডু ব্যর্থ হলেও মঈন আলিকে নিয়ে প্রথমে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান ঋতুরাজ। ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ১৭ বলে ২১ রান করে আউট হন। এরপর ক্রিজে আসেন রবীন্দ্র জাদেজা। স্লগ ওভারে ক্রিজের ২ দিন থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং। ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জাদেজা। অন্যদিকে অপরাজিত শতরান করে মাঠ ছাড়েন ঋতুরাজও। রাজস্থান বোলারদের এদিন কেউই প্রভাব ফেলতে পারেননি প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর। দলের অভিজ্ঞ পেসার মুস্তাফিজুর ৪ ওভার বল করে ৫১ রান খরচ করলেও কোনও উইকেট পাননি।