দুবাই: ঠিক যেন ৯ বছর আগের চিত্রনাট্য। আইপিএলের ফাইনাল। মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। ফের সিএসকে-র প্রথমে ব্যাটিং। আবারও চেন্নাই ওপেনারদের ভাল শুরু। ফলাফলেও কি ফিরবে ৯ বছর আগের স্মৃতি?


শুক্রবার আইপিএলের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করে চেন্নাই সুপার কিংস তুলল ১৯২/৩। তৃতীয় আইপিএল ট্রফি জয়ের জন্য নাইটদের সামনে লক্ষ্য ১৯৩ রানের। পারবেন কি অইন মর্গ্যানরা ২০১২ সালের গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন দলের নস্ট্যালজিয়া ফেরাতে?


দুবাইয়ের ম্যাচ গড়াল যেন ২০১২ সালের চিপক স্টেডিয়ামের আদলে। সিএসকে-র হয়ে টস করতে গেলেন সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে নাইটদের কাছে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা সঙ্গী হয়েছিল যাঁর। তফাত বলতে, কেকেআরের নেতৃত্বে আর গৌতম গম্ভীর নেই। রয়েছেন অইন মর্গ্যান। আর চেন্নাইয়ে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করেছিলেন ধোনি। দুবাইয়ে টস হেরে প্রথম ব্যাটিং করল তাঁর দল।


২০১২ সালে চেন্নাইয়ের হয়ে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছিলেন দুই ওপেনার মাইকেল হাসি ও মুরলী বিজয়। মিডল অর্ডারে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন সুরেশ রায়না। শুক্রবার সিএসকে-র হয়ে শুরুতেই ঝড় তুললেন দুই ওপেনার ফাফ ডুপ্লেসি ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ২৭ বলে ৩২ রান করে রুতুরাজ আউট হলেও আগ্রাসী ব্যাটিং করে গেলেন ডুপ্লেসি। আইপিএলের মরুদেশ পর্বে নাইটদের ফর্মুলাই হল প্রথমে ফিল্ডিং করে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে বেঁধে ফেলো। তারপর অঙ্ক কষে পৌঁছে যাও লক্ষ্যে। শুক্রবার অবশ্য সুনীল নারাইন ছাড়া নাইট বোলারদের বাকিরা নজর কাড়তে ব্যর্থ। নারাইন ৪ ওভারে ২৬ রানে নিলেন ২ উইকেট। বরুণ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে লকি ফার্গুসন, বাকিরা সকলেই ছিলেন নিষ্প্রভ।


নাইট বোলারদের দুঃস্বপ্নের রাত উপহার দিলেন ডুপ্লেসি। ৫৯ বলে করলেন ৮৬ রান। রান তাড়া করতে নামার আগে নাইটদের উদ্বেগ বাড়াবে রাহুল ত্রিপাঠির চোট। ফিল্ডিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেলেন কেকেআরের দিল্লি-বধের নায়ক। রাহুল ব্যাট করতে পারবেন কি না, সেটাই এখন সমস্ত নাইট ভক্তদের সবচেয়ে বড় কৌতূহলের জায়গা।