আবু ধাবি: বয়স চল্লিশ ছুঁয়েছে। কিন্তু এই বয়সেও রেকর্ড গড়েই যাচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এবার উইকেট কিপার হিসেবে সর্বাধিক ক্যাচ নেওয়ার তালিকায় শীর্ষে চলে গেলেন সিএসকে অধিনায়ক। আবু ধাবিতে রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচেই এই নজির গড়লেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এদিন কলকাতার ব্যাটিংয়ের সময় কার্তিক ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ক্য়াচ নেন ধোনি। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই কার্তিককে টপকে যান ধোনি। আইপিএলে উইকেটের পেছনে ধোনির ক্যাচের সংখ্যা ১১৬। তবে মাত্র ১টি ক্যাচ কম রয়েছে কার্তিকের। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১১৫ ক্যাচ।


উইকেট কিপার হিসেবে মোট শিকারের তালিকায় যদিও ধোনি আগে থেকেই শীর্ষে ছিলেন। ১১৬টি ক্যাচ ও ৩৯টি স্টাম্পিং সহ ধোনির মোট শিকারের সংখ্যা ১৫৫। ১১৫টি ক্যাচ ও ৩১টি স্টাম্পিংয়ের সঙ্গে কার্তিকের ঝুলিতে রয়েছে ১৪৬টি শিকার।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন শুভমন গিল। কিন্তু ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হয় তাঁকে। মাত্র ৯ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর ভেঙ্কটেশ আইয়ারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে এদিন ১৮ রান করে আউট হন ভেঙ্কটেশ। ক্য়াপ্টেন মর্গ্যান ব্যর্থ হলেও নীতিশ রানা ও রাহুল ত্রিপাঠী মিলে দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ত্রিপাঠী ছিলেন দারুণ ফর্মে। তবে এদিন অর্ধশতরান মিস করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। রানা ২৭ বলে ৩৭ রান করেন। অন্যদিকে ১৫ বলে ২০ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। তবে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন দীনেশ কার্তিক ক্রিজে এসে।


প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক এদিন ১১ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। স্লগ ওভারে তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান বোর্ডে তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।