আবু ধাবি: প্রতিপক্ষ যখন চেন্নাই সুপার কিংস। তখন ম্যাচে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম চিত্রপট বদলাবে এটাই স্বাভাবিক। ঠিক তেমনই হল কেকেআর বনাম চেন্নাই ম্যাচের প্রথম অর্ধেও। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা যদি চেন্নাই বোলারদের হয়, তো ইনিংসের শেষটা ছিল কেকেআরের। বিশেষ করে দীনেশ কার্তিকের। আবু ধাবিতে ঝড় তুললেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক। মূল তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে কেকেআর বোর্ডে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলে নিল।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন শুভমন গিল। কিন্তু ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হয় তাঁকে। মাত্র ৯ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর ভেঙ্কটেশ আইয়ারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে এদিন ১৮ রান করে আউট হন ভেঙ্কটেশ। ক্য়াপ্টেন মর্গ্যান ব্যর্থ হলেও নীতিশ রানা ও রাহুল ত্রিপাঠী মিলে দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ত্রিপাঠী ছিলেন দারুণ ফর্মে। তবে এদিন অর্ধশতরান মিস করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। রানা ২৭ বলে ৩৭ রান করেন। অন্যদিকে ১৫ বলে ২০ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। তবে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন দীনেশ কার্তিক ক্রিজে এসে।


প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক এদিন ১১ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। স্লগ ওভারে তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান বোর্ডে তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। 


সিএসকে বোলারদের মধ্য়ে এদিন সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া ২ উইকেট পান হ্যাজেলউডও। ১ উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা। তবে ৪ ওভার বল করেও উইকেট পাননি দীপক চাহার।