দুবাই: বোলাররা অর্ধেক কাজ করেই দিয়েছিলেন। কিন্তু প্লে অফের যে ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে, তা বজায় রাখতে হলে বাকি কাজটা করতে হত ব্যাটারদের। তাও আবার রয়েছেন অনেক সম্ভাবনা তত্ত্ব। সেগুলো বজায় রেখে জিততে হত। কে এল রাহুলের ব্যাটিং ঝড়ে সেই ষোলোকলা পূর্ণ। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৭ ওভার বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল পঞ্জাব। অপরাজিত ৯৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন পঞ্জাব অধিনায়ক কে এল রাহুল।
বোলারদের সাঁড়াশি চাপে সিএসকের ব্যাটিং বিভাগে এদিন বড় রান বোর্ডে তুলতে পারেনি। মাত্র ১৩৪ রানেই আটকে গিয়েছিল তারা। সেই লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে রান তোলা শুরু করেন কে এল রাহুল। ময়ঙ্ক এদিন বেশি রান করতে পারেননি। কিন্তু তাতে কোনও অসুবিধে হয়নি পঞ্জাবের। দীপক চাহার, ডোয়েন ব্র্যাভো থেকে শুরু করে জশ হ্যাজেলউড কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি রাহুল। ৭টি বাউন্ডারি ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংস খেলে যখন পঞ্জাবকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তখনও ইনিংসের আরও ৭ ওভার বাকি। ১২.১ ওভারের মধ্যে জিততে হত পঞ্জাবকে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য। পঞ্জাব ১৩ ওভারে জয় পেল। কিন্তু তবুও অন্য দলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।
আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে সিএসকে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে। প্লে অফ পাকা। অন্যদিকে পঞ্জাব কিংস পয়েন্ট টেবিলে রয়েছে ৬ নম্বরে। এবারের আইপিএল খুব একটা ভাল যায়নি কে এল রাহুলের দলের। তবে লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপকে বেশ সমস্যায় ফেললেন পঞ্জাব বোলাররা। দুরন্ত ফর্মে থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াডের ব্য়াট এদিন চলেনি একদমই। মাত্র ১২ রান করে অর্শদীপের বলে ফিরে যান তিনি। পঞ্জাবের এই তরুণ বোলার এদিনও দারুণ স্পেল করলেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, আম্বাতি রায়ডু কেউই রান পাননি।
আরও পড়ুন: ঘন্টায় দেড়শো কিমি গতি, ম্যাচে হেরেও উমরানের বোলিংয়ে মজে কোহলি