শারজা: এবারের আইপিএল যেন সাপ-লুডোর খেলার মতো হচ্ছে। যেখানে কোনও দল পরপর ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের ওপরে চলে আসছে তো পরের মুহূর্তেই হেরে ছিটকে যাচ্ছে প্রথম চার থেকে। কোনও দল আবার শুরুর দিকে হারলেও পরে পরপর ম্যাচ জিতে দখল করে নিচ্ছে শীর্ষস্থান। এবং পয়েন্ট টেবিলের টপারের নামও বদলে যাচ্ছে কার্যত রোজই।


বুধবারই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। শুক্রবার তাদের স্থানচ্যুত করল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৬ উইকেটে কার্যত একপেশেভাবে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল সিএসকে। ৯ ম্যাচের মধ্যে ৭টি জিতেছেন ধোনিরা। তাঁদের পয়েন্ট ১৪। দিল্লির পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে চেন্নাই।


শুক্রবার আইপিএলে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের দুই দল। চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। যে ম্যাচকে আইপিএলে দক্ষিণ ভারতের ডার্বি বলা হয়। তবে টসের আগে শুরু হয় মরুঝড়। যার জেরে ম্যাচ আধ ঘণ্টা পিছিয়ে যায়। সাড়ে সাতটার পরিবর্তে ম্যাচ শুরু হয় রাত আটটায়। টসও হয় আধ ঘণ্টা পরে।


শারজায় মরুঝড় মানেই বিশ্বের তামাম ক্রিকেটভক্তদের মনে পড়ে যা সচিন তেন্ডুলকরের মহাকাব্যিক সেই দুই ইনিংসের কথা। মরুঝড়ের দাপটও ম্লান হয়ে গিয়েছিল ব্যাটের যে তাণ্ডবের সামনে।


যদিও শুক্রবার বিরাট কোহলিদের দলের কারও ব্যাটে সেইরকম মহাকাব্যিক তাণ্ডব দেখা যায়নি। বিরাট রান পেয়েছেন। ৪১ বলে ৫৩ রান করেন আরসিবি অধিনায়ক। কিন্তু সেই বিরাট সুলভ বিধ্বংসী মেজাজ ছিল না। দেবদত্ত পড়িক্কল ৫০ বলে ৭০ রান করেন। শারজা ছোট মাঠ। ধরেই নেওয়া হয় এই মাঠে ম্যাচ মানে দুই দলই বড় স্কোর তুলবে। কিন্তু দুই ওপেনার ভাল শুরু দেওয়ার পরেও তা কাজে লাগাতে পারেনি আরসিবি। এ বি ডিভিলিয়ার্স হোন বা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিডল অর্ডারের কেউই রান পাননি। প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি আটকে যায় ১৫৬/৬ স্কোরে। সিএসকে বোলারদের মধ্যে ডোয়েন ব্র্যাভো ২৪ রানে তিনটি ও শার্দুল ঠাকুর ২৯ রানে দুটি উইকেট পান।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিএসকে। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে। ব্যাট হাতে ফের সফল রুতুরাজ গায়কোয়াড় (২৬ বলে ৩৮ রান)। এছাড়া রান পেয়েছেন ফাফ ডুপ্লেসি (৩১), মঈন আলি (২৩) ও অম্বাতি রায়াডু (৩২)। ধোনি ৯ বলে ১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।