আবু ধাবি: পঞ্জাব ম্যাচের দুরন্ত জয়ের পর দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও বোলিংয়ে নজর কাড়লেন রাজস্থান রয়্যালসের বোলাররা। মুস্তাফিজ, কার্তিকদের বোলিংয়ের সামনে বড় রান তুলতে ব্যর্থ হল দিল্লি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান বোর্ডে তুলতে সক্ষম হল ঋষভ পন্থের দল।
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ওপেনিংয়ে শিখর ধবন ও পৃথ্বী শ জুটি এদিন ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ২ জনই ব্যর্থ হন এদিন। দিল্লি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পঞ্জাব ম্যাচের নায়ক কার্তিক ত্যাগী। ধবনকে বোল্ড করে দেন তিনি। মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তারকা ওপেনার। এর কিছুক্ষণ পরে ফিরে যান পৃথ্বীও। ১০ রান করে চেতন সাকারিয়ান বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর কিছুটা হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। আইয়ার ৩২ বলে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ওভার বাউন্ডারি। অন্যদিকে পন্থ এদিন ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন। কিছুটা স্লথ গতিতে খেলে ২৪ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। ২ জনে মিলে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করেন। এরপর পন্থ ফিরে গেলে শ্রেয়সও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
শেষ দিকে হেটমায়ার, ললিত যাদব ও অক্ষর পটেল মিলে দিল্লির স্কোর দেড়শোর গণ্ডি পার করে দেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৫৪ রান তুলতে সক্ষম হয় দিল্লি। রাজস্থান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার হলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২২ রান করে ২ উইকেট নেন তিনি। কার্তিক এদিন ১ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে যদিও ৪০ রান দেন। চেতন সাকারিয়া ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রাজস্থান এদিন খেলিয়েছিল প্রোটিয়া স্পিনার তাবরেজ সামসিকে। যদিও তিনি কোনও উইকেট পাননি।