শারজা: সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যেন দুঃস্বপ্ন তাড়া করছে বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli)। মরুদেশে টানা ৭ ম্যাচে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্রিকেটারদের। যে পারফরম্যান্স উদ্বিগ্ন করে তুলেছে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও।


করোনার ধাক্কায় আইপিএল বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Challengers Bangalore) পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছিল, এবার হলেও হতে পারে। ব্যাট হাতে ভরসা দিচ্ছিলেন বিরাট কোহলি, এ বি ডিভিলিয়ার্স, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। বল হাতে চলছিল মহম্মদ সিরাজ, হর্ষল পটেল, যুজবেন্দ্র চাহালদের দাপট।


মরুদেশে চতুর্দশ আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে অবশ্য ফের ফিকে দেখাতে শুরু করেছে আরসিবিকে। শুক্রবার বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৬ উইকেটে কার্যত একপেশেভাবে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এল সিএসকে। ৯ ম্যাচের মধ্যে ৭টি জিতেছেন ধোনিরা। তাঁদের পয়েন্ট ১৪। দিল্লির পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে চেন্নাই।


আর আরসিবি ক্রমশ তলিয়ে চলেছে। শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটি হার। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তিন নম্বরে নেমে এসেছেন বিরাটরা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে শেষ সাতটি ম্যাচে পরাজয় হজম করতে হয়েছে আরসিবিকে। ২০২০ সালের আইপিএল হয়েছিল মরুদেশে আর সেবার শেষ পাঁচটি ম্যাচ টানা হেরেছিলেন বিরাটরা। এবার দুটি ম্যাচে হারলেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়াল সাতে। এবারের আইপিএলে শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিই হেরে গিয়েছে আরসিবি। অন্যদিকে সিএসকে মরুদেশে নিজেদের টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল।


দলের পারফরম্যান্সে অশনি সংকেত দেখছেন কোহলিও। যিনি নিজে অনেকদিন পর শুক্রবার রান করেছেন। ম্যাচ হারার পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ কোহলি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, 'চাপের মুখে আমাদের সাহস দেখাতে হবে। টুর্নামেন্ট দ্রুত হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।'


শুক্রবার বিরাট রান পেয়েছেন। ৪১ বলে ৫৩ রান করেন আরসিবি অধিনায়ক। কিন্তু সেই বিরাট সুলভ বিধ্বংসী মেজাজ ছিল না। দেবদত্ত পড়িক্কল ৫০ বলে ৭০ রান করেন। শারজা ছোট মাঠ। ধরেই নেওয়া হয় এই মাঠে ম্যাচ মানে দুই দলই বড় স্কোর তুলবে। কিন্তু দুই ওপেনার ভাল শুরু দেওয়ার পরেও তা কাজে লাগাতে পারেনি আরসিবি। এ বি ডিভিলিয়ার্স হোন বা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিডল অর্ডারের কেউই রান পাননি। প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি আটকে যায় ১৫৬/৬ স্কোরে। সিএসকে বোলারদের মধ্যে ডোয়েন ব্র্যাভো ২৪ রানে তিনটি ও শার্দুল ঠাকুর ২৯ রানে দুটি উইকেট পান।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিএসকে। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে। ব্যাট হাতে ফের সফল রুতুরাজ গায়কোয়াড় (২৬ বলে ৩৮ রান)। এছাড়া রান পেয়েছেন ফাফ ডুপ্লেসি (৩১), মঈন আলি (২৩) ও অম্বাতি রায়াডু (৩২)। ধোনি ৯ বলে ১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।


হরভজনের কথায় কেকেআর ক্রিকেটারদের মধ্যে লেগে গেল লড়াই!