মুম্বই: জন্মদিনটা মাঠে অন্তত ভাল গেল না কে এল রাহুলের। তিনি রান পেলেন। তবে তাঁর দল পঞ্জাব কিংস ম্যাচ হারল। প্রায় দুশোর কাছাকাছি রান করেও শেষরক্ষা হল না। শিখর ধবনের ৪৯ বলে ৯২ রানের ব্যাটিং ঝড়ের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ পঞ্জাব বোলাররা। ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল দিল্লি।
রবিবার ব্যাটে রানও পেলেন কে এল রাহুল। সেই সঙ্গে ময়ঙ্ক অগ্রবালের ব্যাটেও ফিরল রানের ফুলঝুরি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব কিংস তোলে ১৯৫/৪। আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল পঞ্জাবের। একমাত্র শাহরুখ খান ছাড়া সেই ম্য়াচে কেউই রান পাননি। এবং একপেশেভাবে ম্যাচ জিতেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল। রবিবার সেই কারণেই যেন শুরু থেকেই বাড়তি তাগিদ দেখা গেল পঞ্জাব ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। ওপেনিং করতে নেমে রাহুল ও ময়ঙ্ক, দুজনই হাফসেঞ্চুরি করলেন। রবিবারই ছিল রাহুলের ২৯তম জন্মদিন। সকাল থেকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন। পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক ৫১ বলে করলেন ৬১ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও দুটি ছক্কা। ময়ঙ্ক ছিলেন আরও বিধ্বংসী মেজাজে। মাত্র ৩৬ বলে ৬৯ রান করলেন কর্নাটকের রাজ্য দলে রাহুলের সতীর্থ। ময়ঙ্কের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা। দুই ওপেনার মিলে ১২.৪ ওভারে ১২২ রান যোগ করেন। পরের দিকে চালিয়ে খেলে দীপক হুডা ১৩ বলে ২২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দুটি ছক্কা মারেন হুডা। ৫ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন এবারের আইপিএলের নবতম তারা শাহরুখ খান। তবে বড় রান পাননি ক্রিস গেল। ৯ বলে একটি ছক্কা মেরে ১১ রান করে আউট হয়ে যান ক্যারিবিয়ান তারকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর এক ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান ৮ বলে ৯ রান করেন।
করোনা মুক্ত হলেও পেসার এনরিকে নোখিয়াকে এদিন খেলায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস, লুকমান মেরিওয়ালা, কাগিসো রাবাডা ও আবেশ খান। ৪ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি আর অশ্বিন।