দুবাই: তাঁর ফর্ম নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। ২৫ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি দিলেন ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। যে প্রত্যাবর্তনের পিছনে কৃতিত্ব প্রাপ্য বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। যিনি আইপিএলে খেলেন ঈশানের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে।


মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মাও জানিয়েছেন যে, তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা ছিল ঈশানের উপর। তাঁর আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন কিষাণ। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ঝাড়খণ্ডের ব্যাটার। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে চেনা ছন্দে ফিরলেন ঈশান।


গোটা মরসুমে ব্যাট হাতে একেবারেই ছন্দে দেখায়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তথা ভারতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটার ঈশানকে। তবে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শারজায় জ্বলে উঠেছিল ঈশানের ব্যাট। মাত্র ২৫ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কার সৌজন্যে ঝোড়ো অর্ধশতরান করেন তরুণ ক্রিকেটার।


যদিও আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের শুরুটা তাঁর ভাল কাটেনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল থেকে তো বাদ পড়েনই, ভারতের বিশ্বকাপ দলেও তাঁর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তবে রাজস্থানের বিরুদ্ধে মিডল অর্ডারের বদলে ওপেনিংয়ে ফিরতেই ভাগ্য ফিরেছে ঈশানের। দীর্ঘ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে চাপে থাকা ঈশানকে ফর্মে ফিরতে সাহায্য করেন সিনিয়ররা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের পর তাঁকে বিরাট কোহলির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতেও দেখা যায়। পাশাপাশি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সতীর্থ হার্দিক পাণ্ড্য, কায়রন পোলার্ডের থেকেও তিনি পরামর্শ নেন বলে জানিয়েছেন ঈশান। বলেছেন, ‘অনেকেই গত মরসুমের মতো রান পাচ্ছিল না। তবে আমাদের সাপোর্ট স্টাফরা দারুণ। আমাদের অধিনায়কের পাশাপাশি আমি বিরাট ভাই ও হার্দিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। সবাই আমার পাশে ছিল। কেপি (কায়রন পোলার্ড) আমায় বলেছিল, কোনও কিছুকে জটিল করে ফেলো না। ব্যাটিংয়ের পুরনো কিছু ভিডিও দেখার পরামর্শ দেয়। আমি সেইমতো গত বছরের আমার ব্যাটিংয়ের কিছু ভিডিও দেখি এবং তা আমায় আত্মবিশ্বাস জোগায়।’