কলকাতা: আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর বিদেশি ক্রিকেটারেরা প্রায় সকলেই ভারত ছেড়ে গিয়েছেন। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারেরা দেশে ফিরতে না পারলেও আপাতত মলদ্বীপে অস্ট্রেলিয়ার বিমানের অপেক্ষায়। তবে ভারতেই আটকে ছিলেন দুজন। আমদাবাদে আটকে পড়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারাইন। যে খবর একমাত্র প্রকাশিত হয়েছিল এবিপি লাইভে। সোমবার বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। এক সপ্তাহ আমদাবাদে আটকে থাকার পর অবশেষে স্বস্তিতে রাসেল-নারাইনরা।


আইপিএলে অংশগ্রহণকারী আট দলের মধ্যে চার শিবিরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের অনেকেই। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিস্ময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র। পরে টিম সিফার্ট ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও করোনা সংক্রমিত হন।


এই পরিস্থিতিতে আমদাবাদেই আটকে পড়তে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারাইনকে। কেকেআর শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছিল, ৪ মে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে আইপিএল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরেই দীনেশ কার্তিক, নীতিশ রানা, শুভমন গিল-সহ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বেশিরভাগ ক্রিকেটার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। অধিনায়ক অইন মর্গ্যান, স্পিন বোলিং কোচ কার্ল ক্রো-রাও বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। মলদ্বীপ হয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় অস্ট্রেলীয় তারকা প্যাট কামিন্সরা। ঢাকায় ফিরে গিয়েছিলেন শাকিব আল হাসান। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসে খেলা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে রাসেল ও নারাইন আটকে পড়েছিলেন আমদাবাদেই। কেন?


কেকেআর শিবির থেকে বলা হয়েছিল, "করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য ভারত থেকে বিমানযাত্রা নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ চালু হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। খুব কম সংখ্যক বিমানই চলাচল করছে। দ্রে (দলে রাসেলের ডাকনাম) ও সুনীল ফেরার বিমান পাচ্ছে না। তাই ওরা আমদাবাদের টিম হোটেলেই রয়েছে।" জানা গিয়েছিল, রাসেলদের সঙ্গে একই বিমানে চেন্নাই সুপার কিংসের ডোয়েন ব্র্যাভো, পঞ্জাব কিংসের নিকোলাস পুরান, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জেসন হোল্ডার, দিল্লি ক্যাপিটালসের শিমরন হেটমায়ার অর্থাৎ আইপিেলের অন্যান্য দলের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদেরও ফেরানোর চেষ্টা চলছিল।



ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও জনি গ্রেভ জানিয়েছেন, আইপিএলে খেলতে যাওয়া সকলেই বাড়ি পৌঁছেছেন। স্বস্তি ককেআর শিবিরেও।