আবু ধাবি: ইংল্যান্ডে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে সুপারহিট ছিল তাঁদের দুজনের ওপেনিং জুটি। এতটাই যে, তাঁদের নামকরণ করা হয়েছিল রো-রা জুটি। মঙ্গলবার আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সেই রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও কে এল রাহুলের পঞ্জাব কিংস। যে ম্যাচে মুম্বইয়ের সামনে জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পঞ্জাব।


লো স্কোরিং ম্যাচে সেই লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করে দিল মুম্বই। নেপথ্যে, পঞ্জাব কিংসের হতশ্রী ফিল্ডিং। যে দুজন মঙ্গলবার মুম্বইয়ের দিকে ম্যাচ ঘোরালেন, সেই হার্দিক পাণ্ড্য এবং কায়রন পোলার্ড, দুজনেরই ক্যাচ ফেললেন পঞ্জাব ক্রিকেটারেরা। হার্দিকের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন হরপ্রীত ব্রার। হার্দিকের রান তখন মাত্র ৮। শেষ পর্যন্ত ৩০ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলে মুম্বইয়ের জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিলেন হার্দিকই। ৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত রইলেন পোলার্ড। এক ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ বার করে নিল মুম্বই। জিতল ৬ উইকেটে।


এদিন বড় রান পাননি পঞ্জাব অধিনায়ক রাহুল। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ২২ বলে ২১ রান করেন। অন্য ওপেনার মনদীপ সিংহ ১৪ বলে ১৫ রান করেন। ক্রিস গেল প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেও রান পাননি। ৪ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরেন। পঞ্জাব ইনিংসকে টানলেন এইডেন মারক্রাম। ২৯ বলে ৪২ রান করে তিনিই সেরা স্কোরার। শেষ দিকে দীপক হুডা ২৬ বলে ২৮ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে পঞ্জাব তোলে ১৩৫/৬।


মুম্বই বোলারদের মধ্যে সফল যশপ্রীত বুমরা ও কায়রন পোলার্ড। দুজনই দুটি করে উইকেট নেন। জিতে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বরে উঠে এল মুম্বই। ১১ ম্যাচে রোহিত শর্মাদের পয়েন্ট হল ১০। সমসংখ্যক ম্যাচে পঞ্জাবের পয়েন্ট ৮।


দিনের প্রথম ম্যাচে জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মরুদেশে ব্যাটে-বলে সফল সুনীল নারাইন। ক্যারিবিয়ান তারকার দাপটে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে স্বস্তি ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। ১১ ম্যাচের শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চার নম্বরে কেকেআর। প্লে অফের দৌড়েও ভালমতোই রইল শাহরুখ খান, জুহি চাওলার দল।


প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি তুলেছিল ১২৭/৯। বল হাতে সফল সুনীল নারাইন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট। কেকেআর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ক্যারিবিয়ান বিস্ময় স্পিনারই। শিকারের তালিকায় দিল্লির অন্যতম সেরা ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ার। রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের শুরুটা ভাল হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কেকেআর। ১৫ ওভারের শেষে ৯৮/৫ হয়ে যায় স্কোর। ৩০ বলে জেতার জন্য ৩০ রান বাকি ছিল। শারজার উইকেটে যা বেশ কঠিন লক্ষ্য বলেই মনে করা হচ্ছিল।


টানটান পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতেও খেলা ঘোরালেন নারাইন। দিল্লির সেরা পেসার কাগিসো রাবাডার এক ওভারে ২১ রান তুললেন। দুটি ছক্কার পাশাপাশি মারলেন একটি চার। ওই একটা ওভারেই ঘুরে গেল ম্যাচ। পরের ২৪ বলে মাত্র ৯ রান দরকার ছিল কেকেআরের। নারাইন ১০ বলে ২১ রান করে আউট হন।