দুবাই: সোমবার ২৮ বছর পূর্ণ করলেন হার্দিক পাণ্ড্য। জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসলেন ভারতীয় দল তথা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা অলরাউন্ডার।


ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন বঢোদরার হয়ে। বঢোদরার হয়ে খেলেই সকলের নজরে পড়েন। তবে হার্দিককে প্রতিষ্ঠা দেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সালটা ২০১৫। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে আইপিএলে অভিষেক হয় হার্দিকের। সেই ম্যাচে তখন কার্যত হারতে বসেছিল মুম্বই। ১২ বলে দরকার ছিল ৩০ রান। নবাগত হার্দিকের চমকের শুরু। মাত্র ৮ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। হার্দিকের দাপটে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অভাবনীয়ভাবে। সেই শুরু। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি হার্দিককে।


জাতীয় দলের হয়েও অচিরেই নজরে পড়া। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত। ৬ বলে জিততে গেলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১১ রান। প্রথম তিন বলের দুটিতে দুই বাউন্ডারি। বোলার হার্দিক। তারপর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা। পরের তিন বলে ২ উইকেট ও একটা রান আউট। ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন হার্দিকই। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।


আরও পড়ুন: হার্দিককে নিয়ে কী ভাবছে বোর্ড? জানা যাবে ১৫ অক্টোবর


তবে ইদানীং তিনি শিরোনামে চোটের জন্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকলেও হার্দিককে নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।


হার্দিক পাণ্ড্যর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছেই। এমন অবস্থায় আশ্বাসবাণী দিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে সেই বার্তায় রয়েছে কিছুটা চিন্তার পূর্বাভাসও। কারণ হার্দিকের সুস্থতার জন্য ফিজিও, প্রশিক্ষক এবং মেডিক্যাল টিমের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রোহিত। প্রায় দেড় বছর ধরে পিঠের চোটে কাবু হার্দিক। হয়েছে অস্ত্রোপচারও। তারপর থেকে হার্দিক খুব বেশি বোলিং করেননি। বছরের শুরুর দিকে হার্দিক জাতীয় দলের হয়ে কয়েক ওভার বল করেছিলেন, কিন্তু চলতি আইপিএলে তিনি বল স্পর্শ করেননি। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার্দিক বোলিং করতে পারবেন? আর যদি বোলিং নাই করতে পারেন তাহলে কি হার্দিক চূড়ান্ত দলে জায়গা পাবেন?


শেষ পর্যন্ত সমালোচকদের জবাব দিয়ে কামাল করেন কি না বঢোদরার অলরাউন্ডার, সেটাই দেখার।