আবু ধাবি: মিরাক্যাল ছাড়া কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। কিন্তু তবুও প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের ব্যাটারদের মারকাটারি ব্যাটিং। বিশাল রান বোর্ডে তুলে নেওয়া। সব কিছু দেখে মনে হয়েছিল যে হয়ত অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারবে রোহিত বাহিনী। কিন্তু তা আর হল না। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ৪২ রানে জয় পেলেও এবারের আইপিএলে আর প্লে অফে ওঠা হল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। মাত্র ৪২ রানে জিতে বিশাল ব্যবধানে জয়ের অধরা স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল রোহিতদের। অন্য়দিকে এই ম্য়াচের ফল নির্ধারণ হওয়ার পরই প্লে অফে চতুর্থ দল হিসেবে চলে গেল কেকেআর। 


বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ২৩৫ রান করলে জয় আসবে। এই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জয় যে তাদের আসবে না, তা নিশ্চিত ছিলই। তাছাড়া জিতলেও কোনও লাভ হত না হায়দরাবাদের। কিন্তু সবার নজরে ছিল যে মুম্বই ৬৫ রানের মধ্যে অল আউট করতে পারে কিনা হায়দরাবাদকে। তবে সেই সম্ভাবনায় প্রথমেই জল ঢেলে দিল হায়দরাবাদের ওপেনিং জুটি। জেসন রয় ও অভিষের শর্মা মিলে দ্রুত গতিতে রান তোলা শুরু করেন। মুম্বইয়ের ব্যাটারদের মতোই চালিয়ে খেলে মাত্র ৫.২ ওভারে বোর্ডে ৬৪ রান তুলে দিয়েছিল সানরাইজার্স। ততক্ষণে মুম্বইয়েই আইপিএল থেকে এবারের মতো ছুটি হয়ে গিয়েছিল। শুধু নিয়মরক্ষার বাকি ম্যাচ খেলা চলছিল। যেই খেলাকে কিছুটা জমিয়ে দিলেন এই ম্যাচে হায়দরাবাদ অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডে। তিনি অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন। হায়দরাবাদ তাদের ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানই তুলতে পারে শেষ পর্যন্ত। 


এর আগে টস জিতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ঝোড়ো অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন ঈশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব। ১১টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩২ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন ঈশান। অন্যদিকে ১৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার যাদব। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২৩৫ রান তুলে নিয়েছিল মুম্বই।