শারজা: প্লে অফের দৌড়ে থাকতে এই ম্যাচে জিততেই হত। টস জিতে কিছুটা এগিয়েই ছিলেন লড়াইয়ে রোহিত শর্মা। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তাঁর দলের বোলাররা অধিনায়কের আস্থা অর্জনের কাজটা নিঁখুতভাবে করলেন। অনবদ্য বোলিং পারফরম্যান্স বুমরা, নিশাম, কুল্টার নাইলদের। যার জন্য রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙে পড়ল। একশোর গণ্ডিও পেরোতে পারলেন না সঞ্জু স্যামসনরা। 


পয়েন্ট টেবিলে ৬ ও ৭ নম্বরে থাকা দলের মধ্যে লড়াই। এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শারজার মন্থর পিচের সুবিধে খুব সুন্দরভাবে তুলে নিল তাঁর বোলাররা। ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সবাল ও এভিন লুইস মিলে পার্টনারশিপ গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন আগের ম্যাচে। এদিন মাত্র ১২ রান করেই ফিরলেন জয়সবাল। লুইস কিছুটা বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করলেও বুমরার বলে লেগবিফোর হয়ে ফিরে যান ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে। এরপরই রীতিমতো ধস নামে রাজস্থান ব্যাটিংয়ে। সৌজন্যে জিমি নিশাম ও নাথান কুল্টার নাইল। ২ জনেই এদিন বল হাতে রীতিমতো ভেলকি দেখালেন। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন মাত্র ৩ রান করে নিশামের প্রথম শিকার হন। আগের ম্যাচে অর্ধশতরানকারী শিভম দুবেও এদিন রান পাননি। তিনিও নিশামের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩ রান করে। 


পরপর উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান শিবির। ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া একমাত্র ২ জন যাঁরা দু অঙ্কের স্কোর করতে পেরেছিলেন। বাকিরা সবাই যেন আয়ারাম ও গয়ারাম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে মাত্র ৯০ রান তুলতে পারে রাজস্থান। মুম্বই বোলারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে সফল বোলার নাথান কুল্টার নাইল। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। অন্যদিকে জিমি নিশাম ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। জশপ্রীত বুমরা ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। যদিও দলের অন্যতম তারকা পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভার বল করে ২৪ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি।