দুবাই: করোনা আক্রান্ত টি নটরাজন (T Natarajan)। তাঁর পরিবর্তে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটারকে দলে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad)।


আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, দলের ক্রিকেটারদের কেউ টুর্নামেন্ট চলাকালীন করোনা আক্রান্ত হলে তিনি সুস্থ হয়ে দলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি পরিবর্ত হিসাবে কাউকে নেওয়া যায়। সেই নিয়মেই নটরাজনের পরিবর্তে উমরন মালিককে নিয়েছে হায়দরাবাদ। জম্মু-কাশ্মীরের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি ও একটি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন উমরন। নিয়েছেন চারটি উইকেট। নেট বোলার হিসাবে তিনি দলের সঙ্গেই ছিলেন।


আমিরশাহিতে করোনার থাবা। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন টি নটরাজন। বুধবার আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেমেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু ম্যাচের আগেই নটরাজনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।


করোনা আক্রান্ত নটরাজনের সংস্পর্শে আসা ৬ প্লেয়ারকে আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজয় শঙ্কর। এছাড়াও বাকিরা হলেন টিম ম্যানেজার বিজয় কুমার, ফিজিও শ্যাম সুন্দর, টিম ডাক্তার অঞ্জনা, লজিস্টিক ম্যানেজার তুষার খেড়কর ও নেট বোলার পি গণেশন। আইপিএলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছিল, ‘রুটিন আরটি-পিসিআর টেস্টে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের খেলোয়াড় টি নটরাজন করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি বাকিদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। তাঁর কোনও উপসর্গ নেই। মেডিক্যাল টিম নটরাজনের সান্নিধ্যে আসা ৬ জনকে চিহ্নিত করেছে এবং তাঁদেরও আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।'


এর আগে ভারতের মাটিতে প্রথমবার যখন আইপিএল আয়োজিত হয়, তখনও করোনার থাবাতেই টুর্নামেন্ট মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে করোনা আবহেই আইপিএল সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা গিয়েছিল। এরপরই এবারও আমিরশাহিতেই করোনা আবহেই টুর্নামেন্টের বাকি অংশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। কিন্তু এরই মাঝে ফের করোনা থাবা।


করোনা আবহে এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিসিসিআই ক্রিকেটারদের সুরক্ষা নিয়ে আরও কঠোর হয়েছে। এই জন্যই আমিরশাহিতে মোট ১৪টি জৈব সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা হচ্ছে। বোর্ডের তরফে ৪৬ পাতার একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ত্রিকেটারদের শারীরিক সুরক্ষার কথা ভেবে নতুন নিয়ম করা হয়েছে। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ সবাইকেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢোকার আগে ৬ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। এছাড়াও ১৪ টি জৈব সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও করোনার থাবা।


হার্দিককে নিয়ে ধোঁয়াশা! কেন খেলছেন না, জানালেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচ