বেঙ্গালুরু: আগামীকাল আইপিএলের মেগা নিলাম। আইপিএলের (IPL) সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি- লখনউ সুপার জায়েন্টস ও গুজরাট টাইটানস। ফলে, আরও রোমাঞ্চকর হতে চলেছে আগামী আইপিএল। ১০ দলের আইপিএলে কোন দলে কোন তারকা যেতে চলেছেন। কোন দল কাকে নিলামে নিজেদের দলে পেতে চলেছে, তা জানতে হলে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই হবে। এবারের আইপিএল নিলামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৫৯০ জন ক্রিকেটারের নাম। এর মধ্যে ২২৮ জন ক্যাপড প্লেয়ারস, ৩৫৫ জন আনক্যাপড প্লেয়ারস এবং অন্য দেশের সাত খেলোয়াড় রয়েছেন। তবে আসন্ন আইপিএলে ৮ তারকা হয়ে উঠতে পারেন যে কোনও দলের ব্ল্যাক হর্স। তাঁরা কারা?
কুইন্টন ডি কক: তারকা প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ২০১৩ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল ২৯ বছরের ডি ককের। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবেই ভাল পারফর্ম করে আসছেন তিনি। শেষবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন এই বাঁহাতি। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে মোট ২২৫৬ রান করেছেন ১৩০ এর ওপর স্ট্রাইক রেটে। ২০১৮ সালে ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় আরসিবিতে এসেছিলেন ডি কক। এরপর ২০১৯ সাল থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলছেন। সে বছর দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ডি কক (৫২৯)। ২০২০ সালে মুম্বইয়ের ট্রফি জয়ের অন্য়তম কারিগর ছিলেন প্রোটিয়া তারকা। তিনি ৫০৩ রান করেছিলেন সেই মরসুমে। এবার ডি ককের বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা।
প্যাট কামিন্স: অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের অধিনায়ক প্য়াট কামিন্সও এবারের আইপিএলে বড় দাম পেতে পারেন। অজি তারকার বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা। তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন শেষবার। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতেও বড় শট খেলতে পারেন ডানহাতি ফাস্ট বোলার। আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৩১৬ রান করেছেন। এছাড়া ঝুলিতে পুরেছেন ৩৮ উইকেট।
ঈশান কিষাণ: ২৩ বছরের তরুণ উইকেট কিপার ব্য়াটার। এখনও পর্যন্ত ১৪৫২ রান করেছেন টুর্নামেন্টে। রাঁচির এই তরুণের বেস প্রাইসও ২ কোটি টাকা। বাঁহাতি ব্য়াটার। ওপেনিংয়ে বিধ্বংসী ফর্মে দেখা যেতে পারে ঈশানকে। ৫৭.৩৩ গড়ে ২০২০ মরসুমে ৫১৬ রান করেছিলেন এই ব্যাটার। তিনিই ছিলেন দলের সেই বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ডেভিড ওয়ার্নার: টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম সফল একজন ব্য়াটার। তিনবার অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছিলেন, একবার আইপিএলে ট্রফি জয়। ঝুলিতে ৫,৪৪৯ রান। দ্রুততম ৫ হাজার রানের মালিক আইপিএলের ইতিহাসে। ২০০৯ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন। ২০১৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়। এবারের নিলামে ২ কোটি টাকা বেস প্রাইস রেখেছেন বাঁহাতি অজি ওপেনার।
শ্রেয়স আইয়ার: ৮৭ ম্যাচে আইপিএলে ঝুলিতে ২,৩৭৫ রান করেছেন। ২০১৮ সালে আইপিএলে দিল্লির অধিনায়ক হিসেবে খেলেছিলেন শ্রেয়স। ২০১৯ সালে প্রথমবার প্লে অফে উঠেছিল দিল্লি। এবারের নিলামে বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা রেখেছেন শ্রেয়স।
শিখর ধবন: বিরাট কোহলির পর আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের মালিক শিখর ধবন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৫৭৮৪ রান। সর্বােচ্চ অপরাজিত ১০৬। নিজের বেস প্রাইস এবার রেখেছেন ধবন ২ কোটি টাকা।
কাগিসো রাবাদা: ২০১৭ সালে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ৫ কোটি টাকা দিয়ে এসেছিলেন রাবাদা। এরপরের মরসুমে ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ফের দিল্লি তাঁকে নেয়। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ৫০ ম্যাচে ৭৬ উইকেট পেয়েছেন প্রােটিয়া পেসার। এবার বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা রেখেছেন রাবাদা। সব দলই এই তরুণ ফাস্ট বোলারকে নেওয়ার চেষ্টা করবে।
নিকোলাস পুরান: ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের অন্যতম তারকা ব্য়াটার। ২০১৯ মরসুমে পঞ্জাব শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন পুরান। এরপর থেকে ৩৩ ম্যাচে ৬০৬ রান করেছেন। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে খুব বেশি সাফল্য না পেলেও লোয়ার অর্ডারে পুরানের ঝোড়ো ব্য়াটিং যে কোনও দলের কাছে প্লাস পয়েন্ট। পুরান নিজের বেস প্রাইস রেখেছেন ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।