মুম্বই: আগের ম্যাচেই শেষ ওভারে ১৭ রান হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন লক্ষ্যটা ছিল আরও ১০ রান বেশি। শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ২৭ রানের। চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারলেন না আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। ঋষি ধবনের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে আরও একবার গ্যালারি মাতিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পারলেন না শেষটা মধুর করতে। চাপ সামলে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মাধ্য়ে ম্য়াচের গতি প্রকৃতি বদলে দিলেন ঋষি ধবন (Rishi Dhawan)। ২০১৬ সালের পর প্রথমবার আইপিএল খেলতে নেমেছিলেন। শেষ ওভারে দলকে জেতানোর দায়িত্ব ছিল বল হাতে। সেই কাজটাই নিপুনভাবে করলেন এই ডানহাতি পেসার। ১১ রানে চেন্নাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ষষ্ঠস্থানে উঠে এল ময়ঙ্ক অগ্রবালের পাঞ্জাব কিংস। 


কাজে এল না রায়ডুর লড়াই


ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন রবিন উথাপ্পা। এবারের টুর্নামেন্টে বেশ ধারাবাহিক ছিলেন উথাপ্পা। কিন্তু তিনি আউট হতেই চাপ বেড়ে গিয়েছিল। এরপর টানা আরও ২টো উইকেট হারায় চেন্নাই। ফিরে গিয়েছিলেন স্যান্টনার ও অনফর্মে থাকা শিবম দুবে। কিন্তু নিজের খেলাটা এরপরই শুরু করেছিলেন আম্বাতি রায়ডু। প্রথমে রুতুরাজকে নিয়ে ও পরে জাডেজাকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আইপিএল কেরিয়ারের ২২ তম অর্ধশতরানও হাঁকান তিনি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে রাবাডার বলে আউট হতে হয় তাঁকে। ৭টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে অপরাজিত ২১ রান করেন জাডেজা। ৮ বলে ১২ রান করে শেষ ওভারে আউট হয়ে যান ধোনি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানেই শেষ হয়ে যায় সিএসকের ইনিংস। 


নজির গড়ার ম্য়াচ শিখর ধবনের


এবারের আইপিএলে বেশিরভাগ ম্য়াচেই যে টস জিতছে আগে, সেই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সেই মতোই এই ম্যাচেও টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক রবীন্দ্র জাডেজা। শুরুটা দারুণ করেছিলেন সিএসকের বোলাররা। পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে মাত্র ৩৭ রানই তুলতে পেরেছিল পাঞ্জাব। কিন্তু এরপরই ভানুকা রাজাপক্ষেকে নিয়ে ব্যাটিংয়ের গিয়ার বদলে নেন ধবন। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৯টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্য়ে ৫৯ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেললেন শিখর ধবন। একইসঙ্গে আইপিএলে ৬ হাজার রানের মালিক হয়ে গেলেন ধবন। শুধু তাইই নয়, টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটেও মোট ৯ হাজার রানের মালিক হয়ে গেলেন ধবন।