মুম্বই : আউট হননি। বল লেগে বা কোনও ধাক্কায় আহও হননি। কিন্তু হঠাৎই হন হন করে ডাগআউটের পথে হাঁটা লাগালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Aswin)। নন স্ট্রাইকিং ক্রিজে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটার শিমরন হেটমায়ার (Ahimron Hetmayar) তখন হাঁ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্রিজে নামলেন রিয়ান পরাগ। শেষপর্বে কিছুটা ঝোড়ো ব্যাট করে রাজস্থানের স্কোর ১৬৫ রানে পৌঁছতে সাহায্য় করলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ কী হল অশ্বিনের? জানা গিয়েছে, ট্যাকটিকাল রিটায়ার্ড হার্ট (tactically retired out) হয়েছেন তিনি। আইপিএলের (IPL) ইতিহাসে রানের গতি বাড়াতে এরকম স্বেচ্ছা-আউট এই প্রথমবার।


কী এই ট্যাকটিক্যাল রিটায়ার্ড হার্ট


রানের গতি মনোমত না হলে কোনও দল বা ক্রিকেটার এই পন্থা নিতে পারেন। যেখানে আম্পায়ার অনুমতি ছাড়াই মাঠ ছাড়া যায়। আর বিপক্ষ দলের অধিনায়ক যদি সেই ব্যাটসম্যানকে ফের মাঠে না ডাকেন, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যাটসম্যানকে রিটায়ার্ড হার্ট ধরা হয়। আইপিএলের মঞ্চে এই পন্থা প্রথমবার আমদানি হল। যদিও অশ্বিন নিজে না রাজস্থান দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত তা স্পষ্ট নয়।


ক্রমাগত উইকেট খোয়াতে থাকা রাজস্থান শিবিরের ইনিংস থিতু করতে রিয়ান পরাগের জায়গায় ছয় নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল অশ্বিনকে। তিনি ২৩ বলে ২৮ রান করেন। শেষ ওভারে রান তুলতে ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় বলে হঠাৎই ট্যাকটিকাল রিটায়ার্ড হার্ট নেন অশ্বিন। শেষ চার বলে দুটো চার হাঁকিয়ে ৮ রানের সুবাদে রাজস্থানের স্কোর ১৬৫ রানে পৌঁছে দেন রিয়ান।


এই ধরনের রিটায়ার্ড হার্ট কি প্রথমবার?


আইপিএলের মঞ্চে এমনটা প্রথমবার হলেও ২০১৯ সালে প্রথমবার ক্রিকেটবিশ্ব দেখেছিল এই ধরনের ঘটনা। সাউথ এশিয়ান গেমসে ভুটানের সোনাম টোংবায় মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ম্যাচের ১৯ ওভারে প্রথমবার এভাবে স্বেচ্ছা-আউট হওয়ার পথ বেছে নিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন-বোলারদের দাপটে বাজিমাত, ৩ রানে লখনউকে টেক্কা রাজস্থানের