কলকাতা: টুর্নামেন্টের ১৫ বছরের ইতিহাসে একমাত্র পেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। ২০১১ সালে, ঘরের মাঠ চিপকে ফাইনালে জিতে ট্রফি হাতে তুলেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। আইপিএলে (IPL) ঘরের মাঠে ফাইনাল জেতার নজির রয়েছে একমাত্র ক্যাপ্টেন কুলের।


প্রথমবার অধিনায়ক হিসাবে আইপিএল খেলতে নেমেই ধোনির নজির স্পর্শ করার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন হার্দিক পাণ্ড্য। প্রথমবার আইপিএলে নেমেই ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলার সুযোগ হয়ে যেতে পারে গুজরাত টাইটান্সের। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সে কোয়ালিফায়ার ওয়ানে নামছে গুজরাত। প্রতিপক্ষ সঞ্জু স্যামসনদের রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচ জিতলেই ঘরের মাঠে ট্রফি জয়ের হাতছানি থাকবে গুজরাতের জন্য। কারণ, এবারের আইপিএলের ফাইনাল হবে আমদাবাদের নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় তুলতে মরিয়া থাকবেন হার্দিক-মহম্মদ শামি-রশিদ খানরা।


এই ম্যাচের আগে গুজরাত শিবিরের একমাত্র উৎকণ্ঠা বলতে, ঋদ্ধিমান সাহার ফিটনেস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন বঙ্গ উইকেটকিপার-ব্যাটার। সেই ম্যাচে তিনি পুরো সময় উইকেটকিপিং করতে পারেননি। সোমবার ঋদ্ধি নিজে জানিয়েছেন, তিনি ফিট। খেলতে কোনও সমস্যা নেই। সেটাই যা স্বস্তি দিচ্ছে গুজরাত ভক্তদের।


রাজস্থান শিবিরের কাছে সুযোগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেন ওয়ার্নকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেওয়ার। ওয়ার্নের নেতৃত্বে প্রথম আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান। ওয়ার্নের প্রয়াণের পর ট্রফি জিতে কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ সঞ্জু-জস বাটলারের সামনে।


গ্রুপ পর্বে রাজস্থানকে ৩৭ রানে হারিয়েছিল গুজরাত। ম্যাচের আগের দিন মহম্মদ শামি যদিও জানিয়েছেন যে, গ্রুপ পর্বের ম্য়াচের ফলাফল নিয়ে বেশি ভাবছেন না। প্লে অফে নতুন ম্যাচ। নতুন লড়াই। ফের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে সকলকেই।


মঙ্গলবার ইডেনে শেষ হাসি কাদের? আওয়া দে নাকি হল্লা বোল? 


আরও পড়ুন: বৃষ্টি থামতেই মরিয়া লড়াই মাঠকর্মীদের, প্রস্তুত ইডেন, স্বস্তিতে স্যামসনরাও