কলকাতা: আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রতিটি দলই। আগামী ৩১ মার্চ শুরু হতে চলেছে টুর্নামেন্ট। তার আগে এদিন শহরে এসে পৌঁছলেন নাইট রাইডার্সের সাপাের্ট স্টাফরা। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, সহকারি কোচ অভিষেক নায়ার ও বোলিং কোচ ভরত অরুণকে দেখা গেল বিমানবন্দরে নামতে। সঙ্গে এসেছেন নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও। তিনি আদৌ টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ থেকে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে যদিও সন্দেহ রয়েছে।
আগামী ২১ মার্চ যাদবপুরে অনুশীলন অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল কেকেআরের। কিন্তু এই মুহূর্তে প্রতিদিনই কলকাতায় বৃষ্টি হচ্ছে। তার জন্য ইডেন গার্ডেন্সে ইন্ডোর সেশন করবে নাইট বাহিনী। উপস্থিত থাকবেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও। আগামী ১ এপ্রিল প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে কেকেআর। তার জন্য ২৯ মার্চ মোহালির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির।
বৃষ্টি যদি না হয় তবে ২২ তারিখ থেকে ইডেন গার্ডেন্সে সন্ধে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুশীলন সারবে নাইট শিবির। ২৫ মার্চ সিএবি একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে কেকেআর। আগামী ২৭ মার্চ নিজেদের মধ্যে ২টো দল বানিয়ে প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলবে কেকেআরের ক্রিকেটাররা।
বিগত কয়েক মরসুমে করোনা (Covid-19) কাঁটায় ক্রিকেটারদের একাধিক বিধিনিষেধ মেনেই আইপিএলে (IPL) অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। বর্তমানে করোনার চোখরাঙানি নেই বললেই চলে, তাই তেমন কোনও বিধিনিষেধও নেই। সাম্প্রতিক সময়ে তো করোনা আক্রান্ত ক্রিকেটাররাও ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে এক্ষেত্রে বিপরীত পথ অবলম্বন করতে চলেছে আইপিএলের আয়োজক সংস্থা।
সাত দিনের আইসোলেশন
আসন্ন মরসুমে জৈব বলয়ের বাধা নেই। তবে আইপিএল ম্যানেজমেন্ট ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী আইপিএলের সময় কোনও ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকে সেই সময় মাঠে নামার অনুমতি দেওয়া হবে না। উপরন্তু, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দলের বাকি সকলের থেকে পৃথকভাবে সাতদিন আইসোলেশনে কাটাতে হবে। করোনা আক্রান্ত ক্রিকেটারের রিপোর্ট যতক্ষণ না পর্যন্ত নেগেটিভ আসছে, ততক্ষণ তিনি অনুশীলনও করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পাঁচদিনের আগে আবার পরীক্ষাও করা যাবে না বলেই খবর।
মেডিক্যাল গাইডলাইন
খবর অনুযায়ী ফ্রাঞ্চাইজিগুলিকে আইপিএলের তরফে দেওয়া মেডিক্যাল গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, একমাত্র যাদের মধ্যে করোনার উপশম দেখা যাবে, কেবল তাঁদেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে। উপশম না থাকলে কোনওরকম পরীক্ষাও করা হবে না। একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সাতদিন কেটে গেলেও আক্রান্ত ক্রিকেটারকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট না দেখানো পর্যন্ত খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না। দলে যোগ দেওয়ার অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে ওই ক্রিকেটারকে দুইটি নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে।