বিশাখাপত্তনম: তিনি এলেন, তিনি দেখলেন, তিনি জয় করলেন। ম্য়াচ জেতাতে না পারলেও, জিতে নিলেন গ্যালারির হাজার হাজার মানুষের হৃদয়। বিয়াল্লিশ পেরিয়েও এখনও যে তাঁর ব্যাটে ধার সমান রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। তিনি কখন নামবেন মাঠে, এই অপেক্ষাতেই ছিলেন সমর্থকরা। শিবম দুবের (Shivam Dube) উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরা ফোকাস করল ধোনির দিকে। ব্যাট হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে মাঠে পা রাখলেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই স্টেডিয়ামের গ্য়ালারির প্রতিটা দর্শক চিৎকার করে উঠলেন ধোনি ধোনি বলে...। এই মাঠেই তো হাঁকিয়েছিলেন নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম শতরান। আজও তেমনই একটি ইনিংস খেলুক ধোনি, এমনই প্রত্যাশা ছিল সবার। কাউকে হতাশ করলেন না সিএসকের প্রাক্তন অধিনায়ক। ১৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কায় সাজানো মারকাটারি ইনিংস। শেষ ওভারে নোখিয়াকে ২০ রান দিলেন। আর তার থেকেও বড় কথা শেষ বলে হাঁকালেন পেল্লাই ছক্কা। দিল্লি ২০ রানে ম্য়াচ জিতল। মাহি মন জিতলেন।
এদিন রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় চেন্নাই। ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। তাঁর ওপেনিং পার্টনার রাচিন রবীন্দ্রও এদিন রান পাননি। ১২ বলে ২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপরই ড্য়ারেল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে স্কোর এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অজিঙ্ক রাহানে। এদিন আরও একবার মারমুখি মেজাজে ব্যাট করতে দেখা যায় রাহানেকে। আগের মরশুমে যে ফর্মে ছিলেন, এদিনও সেই ফর্মেই ধরা দিলেন। তবে ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়ার পরও মুকেশ কুমারের বলে ৩০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান রাহানে। ড্যারেল মিচেল ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। শিবম দুবে ১৭ বলে ১৮ ও রবীন্দ্র জাডেজা ১৭ বলে ২১ রান করেন। দিল্লি বোলাররা সবাই এদিন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিলেন। বিশেষ করে খালিল আহমেদ ও মুকেশ কুমার। খালিল ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। মুকেশ ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। শেষ বেলায় ধোনি ধামাক ছিল বিশাখাপত্তনমের দর্শকদের জন্য। এদিন ম্য়াচের পর দিল্লি এবারের আইপিএলে তাঁদের প্রথম জয়ের খাতা খুলল।