লখনউ: বিজয়রথ বজায় রাখল রাজস্থান রয়্যালস। লখনউ সুপারাজায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল সঞ্জু স্যামসন বাহিনী। ১৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেছিল রাজস্থান রয়্যালস। বাটলার ও যশস্বী দুজনেই শুরুটা ভাল করলেও পাওয়ার প্লে-র পরই একে এক আউট হয়ে যান। এরপরই তরুণ ধ্রুব জুড়েলকে সঙ্গে নিয়ে ম্য়াচ জিতিয়ে দেন স্যামসন। দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকান তিনি।
ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন বাটলার ও যশস্বী। ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। অন্য়দিকে তরুণ যশস্বী ২৪ রান করেন। বাটলার নিজের ১৮ বলের ইনিংসে তিনটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। যশস্বী নিজের ১৮ বলের ইনিংসে তিনটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমেছিলেন রিয়ান পরাগ। তিনি ১৪ রান করে ফিরে যান এদিন। ১টি ছক্কা হাঁকান নিজের ইনিংসে। এরপরই ধ্রুব জুড়েলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন স্যামসন। দু জনে মিলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ৩৩ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন স্যামসন। নিজের ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ধ্রুব ৩৪ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান এই তরুণ। যশ ঠাকুর, মার্কাস স্টোইনিস ও অমিত মিশ্রা একমাত্র লখনউয়ের বোলারদের মধ্যে উইকেট পান। কিন্তু এছাড়া আর কোনও বোলারই উইকেট পাননি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ৩ বলে ৮ রান করেন প্রোটিয়া তারকা। আগের ম্য়চে মার্কাস স্টোইনিস শতরান হাঁকিয়ে ম্য়াচ জিতিয়েছিলেন। এদিন যদিও খাতাই খুলতে পারলেন না তিনি। সন্দীপ শর্মার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন চার বল খেলে। রাহুল ৪৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন এরপর। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হবে। তার আগে নিজে ছন্দে ফিরছেন রাহুল। এদিনের ইনিংসে আটটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। দীপক হুডা ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। রাহুলকে ফেরান আবেশ খান। বোল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। হুডাকে ফেরান অশ্বিন। পুরাণ ১১ ও বাদোনি ১৩ বলে ১৮ রান করেন। ক্রুণাল ১৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।