আমদাবাদ: আইপিএলের প্লে অফ মানেই কোথায় টানটান চিত্রনাট্য থাকবে, নাটকীয় মোড় থাকবে, পরতে পরতে থাকবে মোচড়, কোথায় কী! মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দাঁড়াতেই দেয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৫৯ রান তাড়া করে ৩৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল কেকেআর। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্লে অফ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB vs RR) ১৭২/৮ স্কোরে আটকে যাওয়ার পরও মনে হয়েছিল, সেই একপেশে লড়াইয়ের সাক্ষী থাকবে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
তার ওপর রান তাড়া করতে নেমে ৩৩ বলে ৪৬ রান যোগ করলেন রাজস্থান রয়্যালসের দুই ওপেনার - যশস্বী জয়সওয়াল ও টম কোহলার ক্যাডমোর, দু-দুটি ক্যাচ ফেলল আরসিবি। সব মিলিয়ে ফের একটি একপেশে ম্যাচের দিকেই এগোচ্ছিল এলিমিনেটর।
কিন্তু দুটি ওভারে ম্যাচে দুবার জোরাল ধাক্কা দিল আরসিবি। প্রথমে রাজস্থান ইনিংসের দশম ওভারে। ৪ বলের ব্যবধানে যশস্বী ও সঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে দিলেন ক্যামেরন গ্রিন। তারপর ১৮তম ওভারে ফের ৪ বলের ব্য়বধানে রিয়ান পরাগ ও শিমরন হেটমায়ারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ়।
কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। ১ ওভার বাকি থাকতে ৪ উইকেটে আরসিবিকে হারিয়ে দিল রাজস্থান। পৌঁছে গেল কোয়ালিফায়ার টু-তে। বিরাট কোহলিদের ১৭ বছরের অভিশাপ ঘুচল না। ফের ট্রফিহীন একটা মরশুম কাটাতে হচ্ছে আরসিবিকে। টানা ৬ ম্যাচ জিতে যারা প্লে অফে উঠেছিল। যা দেখে ক্রিকেটপ্রেমীরা বলাবলি করছিলেন, ক্রিকেট ঈশ্বর কি এবার কোনও রুদ্ধশ্বাস চিত্রনাট্য তৈরি রেখেছেন? এমনকী, আরসিবির প্রথম মালিক বিজয় মাল্য পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় বুধবারই লেখেন যে, তাঁর মন বলছে কোহলিরাই চ্যাম্পিয়ন হবেন।
তবে বিধি বাম। ফের মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়তে হল আরসিবিকে। ৩০ বলে ৪৫ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার যশস্বীই। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ২৬ বলে ৩৬ রান করেন রিয়ান পরাগ। শেষে রোভম্যান পাওয়েল ৮ বলে অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান। তাঁর ব্যাটের উইনিং স্ট্রোক, যা উড়ে যায় বাউন্ডারির বাইরে, তাতেই মন ভেঙে যায় আরসিবি সমর্থকদের।