রাঁচি: ভারত-ইংল্যান্ড (IND vs ENG Test Series) চতুর্থ টেস্ট চলছে রাঁচিতে (Ranchi)। ২ দলের ক্রিকেটাররা রাঁচি বিমানবন্দরে পা রেখেছিলেন, তখন একজনের চোখ ছিল ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের দিকে। চোখে স্বপ্ন, একদিন হয়ত এভাবেই তাঁর ছেলেও দেশের হয়ে খেলবেন। তিনি আর কেই নন রাঁচির নতুন ক্রিকেট প্রতিভা রবিন মিঞ্জের (Robin Minz) বাবা ফ্রান্সিস জ্যাভিয়ের মিঞ্জ। রবিনকে গত আইপিএলের নিলাম থেকে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে দলে নিয়েছে গুজরাত টাইটান্স। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি রবিনের বাবা ফ্রান্সিস জানিয়েছেন, ''আমি দেখলাম যে বিমানবন্দর থেকে অনেক প্লেয়ার বেরিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কেউই আমাকে লক্ষ্য করেননি। কেনই বা করবেন? আমি একজন সামান্য নিরাপত্তারক্ষী। আর পাঁচজন নিরাপত্তারক্ষীর মতই।''
উল্লেখ্য, প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে দল পেলেন রবিন মিঞ্জ। এখনও অনেক পথ চলবে হবে রবিনকে দেশের জার্সি গায়ে তোলার জন্য, এমনটাই মনে করেন ফ্রান্সিস। তিনি বলছেন, ''সবে মাত্র ওর পথ চলা শুরু হল। বিশ্ব ক্রিকেট ধীরে ধীরে চিনবে ওকে। এখনও অনেক পথ চলা বাকি। রাস্তা অনেক দূর। ধাপে ধাপে এগােতে হবে।''
ছেলে কোটি টাকার চুক্তি পেয়েছে আইপিএলে। এরপরও নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করছেন ফ্লান্সিস। চাকরি ছাড়ার কথা ভাবছেনও না তিনি। ২ দশকের ওপরে আর্মিতে কাজ করেছেন ফ্রান্সিস। বলছেন, ''এটা আমার চাকরি। কেউ যেন বিমানবন্দরে বিনা আইডি নিয়ে ঢুকে পড়তে না পারেন, তা দেখতে হবে। আপনি জানেন না যে, কে কখন বন্দুক হাতে ঢুকে পড়বে। একটু কিছু নেতিবাচক হলেই আমার চাকরি চলে যেতে পারে। আমার ছেলে আইপিএলে ক্রিকেটার বলে আমি যে রিল্যাক্স হয়ে যাব, এমনটা না। অবশ্যই, এর ফলে আমার পরিবারে আরও বেশি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে উঠবে। জীবন কখন কোন মোর নেবে কেউ বলতে পারে না। আমার অনেক সহকর্মী আমাকে বল যে আপনার এখন কাজ করার কী প্রয়োজন? কিন্তু আমি তাঁদের একটা কথাই বলেছি যে যতদিন শরীর দেবে, ততদিন কাজ করে যাব। আমি নিজে কিছু আয় করতে না পারলেও আমি রাতে ঠিক করে ঘুমোতে পারব না।''
এদিকে, আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে আইপিএলের ষোলোতম মরশুম। প্রথম ম্য়াচে চেন্নাই সুপার কিংস তাঁদের ঘরের মাঠে আরসিবির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে।