বেঙ্গালুরু: টি-টোয়েন্টি (T20 World Cup) ফর্ম্য়াট থেকে নাকি তাঁর অবসর নেওয়া উচিত, এমনই মন্তব্য করেছিলেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। এমনকী গত আইপিএল (IPL 2024) চলাকালিনও তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু সেই বিরাট কোহলিন টুর্নামেন্ট শেষে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক। ১৫ ম্য়াচ খেলে মোট ৭৪১ রান ঝুলিতে পুরেছিলেন। গড় ছিল ৬১.৭৫। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৩ অপরাজিত। যা বিরাটের আইপিএল কেরিয়ারেরও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান এক ইনিংসে। পাঁচটি অর্ধশতরান ও একটি শতরান হাঁকিয়েছেন তিনি। বিরাটের ব্যাট থেকে বেরিয়েছে ৬৩টি বাউন্ডারি ও ৩৭টি ছক্কা। ২০১৬ সালে শেষবার আইপিএলে অরেঞ্জ ক্য়াপের মালিক হয়েছিলেন তিনি। এরপর ফের একবার এই টুর্নামেন্টে সর্বাধিক রানের মালিক হলেন কিং কোহলি। 


এবারের টুর্নামেন্টে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক ১৩ ইনিংসে ৫৮৩ রান করেছেন। মোট ৪টি অর্ধশতরান ও একটি সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিরাটের সঙ্গে রানের ব্যবধান অনেকটাই। আইপিএলে ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন বিরাট। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখা গিয়েছিল কিং কোহলির ব্যাটে। আসন্ন টি-টায়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিরাটের এমন পারফরম্য়ান্স কিন্তু নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের জন্য সুখবর। আগামী বিশ্বকাপে যশস্বী জয়সওযালকে নিয়ে যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু আগেই বোর্ড সচিব জয় শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বিরাট কোহলিকেই ওপেনার হিসেবে দেখছেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে রোহিত-বিরাট জুটিই কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ওপেনিংয়ে নামবেন। 


এদিকে আগামী ১ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারতীয় দল তাদের প্রথম ম্য়াচ খেলতে নামবে আগামী ৫ জুন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এরমধ্যেই রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থ, জাডেডা সহ অনেক তারকা ক্রিকেটাররাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছেন। কোচ রাহুল দ্রাবিড়, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর সহ আরও অনেক সাপোর্ট স্টাফও ছিলেন সেই তালিকায়। কিন্তু সেই তালিকায় ছিলেন না বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ড্যরা। তবে কি প্রথম যে প্রস্তুতি ম্য়াচ খেলতে নামবে ভারতীয় দল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, সেই ম্য়াচে কি পাওয়া যাবে না বিরাটকে? উত্তর এখনই না মিললেও সূত্র বলছে ৩০ মে কোহলি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন। খবর অনুযায়ী বিসিসিআই কোহলিকে স্বল্পদিনের জন্য় বিরতি দিয়েছে। তবে বিরাটের ফর্ম নিঃসন্দেহে প্লাস পয়েন্ট জাতীয় দলের।