সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ইডেনের উইকেট মানেই ভেল্কি দেখাবেন স্পিনাররা। বল বনবন ঘুরবে। লাফাবে। আচমকা নীচু হবে। যে পিচে বোর্ডে ১৪০ রান তুলে ফেললেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নিশ্চিত। ১৬০ তো উইনিং স্কোর। বছর দশেক আগেও সেটাই ছিল দস্তুর।


কিন্তু এখন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে ইডেনের বাইশ গজ। এখন বল পড়ে দ্রুত গতিতে যায়। বাউন্স ও পেসের সমণ্বয়ে পেসারদের রমরমা। আবার বল পড়ে ভালভাবে ব্যাটে আসে বলে স্ট্রোক খেলারও সুবিধা।


যদিও শনিবার আইপিএলের উদ্বোধনী (IPL Opening) ম্যাচে দুই অর্ধে দেখা গেল পিচের দুরকম চরিত্র। প্রথমার্ধে বোলাররা দাপট দেখালেন। দ্বিতীয়ার্ধে বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানাদের নিষ্প্রভ দেখাল। ইডেনের (Eden Gardens) পিচ কি দ্বিতীয়ার্ধে বোলিং সহায়ক ছিল না?


১৭৪ রান তুলেও ম্যাচ হারার পর রাহানেই শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন। প্রশ্ন শুনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক খোলামেলা জবাব দিলেন, 'পিচ বোলিং সহায়ক হলে সেটা দেখতে ভাল লাগত। গত দেড়দিন ধরে পিচ কভারে ঢাকা ছিল। পিচে আর্দ্রতা ছিল। আমরা যখন ব্যাট করছিলাম, হ্যাজলউড পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে দারুণ বল করেছে। আমরা অবশ্যই চাইব স্পিন সহায়ক উইকেট পেতে। যদিও কোনও অভিযোগ করছি না। আমাদের যে দুই স্পিনার রয়েছে, সব ধরনের পিচে উইকেট তুলতে পারে। দুদিন পিচ ঢাকা থাকায় চরিত্রগত বদল হয়েছিল।'


 






রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে হারের পর অবশ্য কারও ওপর দায় চাপাচ্ছেন না রাহানে। বলছেন, 'কোনও একটা জিনিসের দিকে আঙুল তোলা ঠিক নয়। এটা আমাদের মরশুমের প্রথম ম্যাচ। আমাদের ব্যাটিং লাইন আপে এমন অনেকে আছে যারা বোলারদের আক্রমণ করে। আবার বলছি, কোনও একটা বা দুটো জিনিসের দিকে আঙুল তোলাটা ঠিক নয়। অনেক কিছু ভালও হয়েছে। দল হিসাবে ও ব্যাক্তি হিসাবে সব সময়ই উন্নতি করার জায়গা থাকে। আরসিবি খুব ভাল বোলিং করেছে। পাওয়ার প্লে-র প্রথম ৩ ওভার ভাল ব্যাটিং করেছিলাম। তবে ১৩ ওভারের পর থেকে ওরা ভাল বোলিং করেছে। আমাদের দলে এমন কয়েকজন ব্যাটার আছে, যারা এই পরিস্থিতিতে অতীতে অনেক ভাল ইনিংস খেলেছে। আজ ওরা পারেনি। তবে ঠিক আছে।'