বেঙ্গালুরু: আসন্ন মরশুমের আইপিএলের (IPL 2025) আগে মেগা নিলামের (IPL 2025 Auction) আয়োজন হওয়ার কথা। সেই নিলামের আগে ক'জন ক্রিকেটারকে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ধরে রাখতে পারবেন, কত টাকা করেই বা বরাদ্দ থাকবে তাদের জন্য, এইসব না না বিষয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। অবশেষে সেইসব জল্পনার অবসান ঘটল। হল সরকারি ঘোষণা।
শনিবারই আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠকের পরেই নিলামের পার্স থেকে কতটাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা সবটাই জানিয়ে দেওয়া হল। ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইপিএলের না না নিয়মাবলী নির্ধারণের জন্য এই বৈঠকটি বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইপিএলের বৈঠকের পর নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি:-
- গত মরশুমের মোট ছয়জন ক্রিকেটারকে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ধরে রাখতে পারবে। এই ক্রিকেটারদের সকলকেই যে রিটেনশনের মাধ্যমে ধরে রাখতে হবে, তা নয়। রিটেনশন এবং আরটিএম কার্ড মিলিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মোট ছয় প্রাক্তনীকে দলে রাখতে পারবে। তবে শর্ত এটাই যে সেই ছয়জন ক্রিকেটারের মধ্যে দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ছয়জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা তারকা এবং সর্বোচ্চ দুইজন আনক্যাপড ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে।
- নিলামের জন্য বরাদ্দ টাকাও বারিয়ে ১২০ কোটি করা হয়েছে। পরের মরশুমের জন্য খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেইজন্য বাড়তি পারফরম্যান্স পে এবং নিলামের জন্য বরাদ্দ টাকার সঙ্গে এই ম্যাচ ফির টাকাও যোগ করা হবে। পরের মরশুমের জন্য এইগুলি সব যোগ করে এক ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বাধিক ১৪৬ কোটি টাকা খরচ করতে পারবে, যেখানে এই মরশুমে সেটা ছিল ১১০ কোটি। এই স্যালারি কাপ প্রতি বছরই বাড়বে। ২০২৬ মরশুমের জন্য ১৪৬ কোটি টাকা বেড়ে হবে ১৫১ কোটি এবং তার পরের মরশুমে সেটা দাঁড়াবে ১৫৭ কোটি টাকায়।
- ম্যাচ ফি বাবদ প্রতিটি খেলোয়াড়কে ৭.৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। ইমপ্যাক্ট সাবদের জন্যও এই একই টাকা দিতে হবে। এর জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি মোট ১২.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। এই ঘোষণায় আরেকটি বিষয়ও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, রোহিত-কোহলিদের বিরোধ সত্ত্বেও আসন্ন তিন মরশুমের জন্য ইমপ্য়াক্ট সাবের নিয়ম অব্যাহত থাকছে।
- বিদেশি ক্রিকেটারদের আইপিএলের মেগা নিলামে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। আর তাঁরা যদি তা না করেন, তাহলে পরবর্তী মরশুমের নিলামেও কিন্তু তাঁরা নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। উপরন্তু, জেসন রয়দের অতীত ঘটনার কথা মাথায় রেখে আইপিএল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, কোনও ক্রিকেটার যদি নিলামে কোনও দল কেনার পর সরে দাঁড়ান, তাহলে তিনি পরবর্তী দুই বছরও নিলামে নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন না। দুই বছরের জন্য নির্বাসিত হবেন তিনি।
- আরেকটি বড় ঘোষণা, যার দিকে সিএসকে সমর্থকরা বেশি করে তাকিয়ে ছিল, সেটি হল আনক্যাপড ক্রিকেটারের নিয়ম। কারণ অবশ্যই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে কোনও ক্রিকেটার, উক্ত আইপিএল মরশুমের আগের পাঁচ বছরে যদি কোনও আন্তর্জাতিক দলের প্রথম একাদশে না থাকেন, বা তাঁর যদি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কোনও বার্ষিক চুক্তি না থাকে, তাহলে তাঁকে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে গণ্য করা হবে। তবে এই নিয়মটা কেবলই ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্যই প্রযোজ্য।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: দিল্লি ছেড়ে আরসিবিতে যোগ দিচ্ছেন পন্থ! জল্পনা নিয়ে নিজেই মুখ খুললেন ঋষভ