সন্দীপ সরকার, কলকাতা: আন্দ্রে রাসেল, বীরেন্দ্র সহবাগ, ক্রিস গেল, ঋষভ পন্থ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। নামগুলো পরপর পড়ে যাওয়া হলে বোলারদের হৃদকম্পন ধরতে বাধ্য। ক্রিকেটের ইতিহাসে এরকম বিধ্বংসী ব্যাটার খুব কমই এসেছে। আইপিএলেও নজির রয়েছে এই পাঁচ তারকার। সবচেয়ে কম বলে ২০০০ রান করার তালিকায় প্রথম ছ'জনের মধ্যে রয়েছেন এই পাঁচ। 

এটুকু পড়ে যে কারও মনে প্রশ্ন জাগবে, তাহলে তালিকার ষষ্ঠ ক্রিকেটার কে? নাম শুনলে অনেকে বিশ্বাস করবেন না। কারণ, যাঁর নাম রয়েছে তালিকায়, তাঁর না আছে গেল-সহবাগদের মতো তারকাদ্যুতি, না পন্থের মতো জৌলুস।

তিনি, নিকোলাস পুরান অনেকটা নিঃশব্দ ঘাতকের মতো। নিজের দিনে কী করতে পারেন, মঙ্গলবার দেখিয়ে দিলেন ইডেন গার্ডেন্সে। আইপিএলে (IPL 2025) ১১২০ বলে ২০০০ রান পূর্ণ করেছেন রাসেল। সেটাই আইপিএলে দ্রুততম। দ্বিতীয় দ্রুততম নজির পুরানের। ১১৯৮ বলে ২০০০ রান পূর্ণ করলেন। সহবাগ, গেলদেরও যে নজির নেই।

বিপক্ষে বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইনের মতো স্পিন ফলা। সঙ্গে হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরার পেস আক্রমণ। অথচ কেকেআরের সব কৌশল গুঁড়িয়ে মাত্র ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন পুরান। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত রইলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। চলতি আইপিএলে যিনি রয়েছেন বিধ্বংসী ছন্দে। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের অরেঞ্জ ক্যাপও পুরানের মাথায়। 

তবে একা পুরানে রক্ষা ছিল না নাইট বোলারদের। একইরকম সংহারক মেজাজে ইডেনে হাজির হলেন মিচেল মার্শ। যাঁকে শুধু ব্যাটার হিসাবে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বোলিং করতে পারবেন না। ব্যাট হাতেই অবশ্য পুষিয়ে দিচ্ছেন অজি তারকা। ৪৮ বলে ৮১ রান করলেন। ২৮ বলে ঝোড়ো ৪৭ এইডেন মারক্রামের।

 

দুই বিদেশির দাপটে ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে ২৩৮/৩ তুলল লখনউ। আইপিএলে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। কেকেআরের সামনে এবার অগ্নিপরীক্ষা। ম্যাচ জিততে হলে ২৩৯ রান তুলতে হবে নাইট ব্যাটারদের।

কেকেআর বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভার ৫১ রান দিলেন হর্ষিত রানা। ৩ ওভারে ৪৬ দিলেন স্পেন্সার জনসন। রাসেল ২ ওভারে দিলেন ৩২। নারাইন ৩ ওভারে ৩৮। বৈভব অরোরা ও বরুণ কিছুটা চাপ রেখেছিলেন, কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে রান বেরিয়ে যাওয়ায় লাভ হল না।