চণ্ডীগড়: বিরাট কোহলির (Virat Kohli) বিরুদ্ধে বল করার মুহূর্তে থমকে গিয়েছিলেন। এবার রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) আউট করার পর সেলিব্রেশন না করে প্রশংসা কুড়িয়ে নিলেন মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj)। আইপিএলের এলিমিনেটরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্সের ম্য়াচ ছিল শুক্রবার। সেই ম্য়াচেই ম্য়াচ জেতানো ৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তার আগের লিগের ম্য়াচে গুজরাতের বিরুদ্ধে টুর্নামন্টের নবম ম্য়াচে যখন খেলতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেই ম্য়াচে রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে দিয়েছিলেন সিরাজ। কিন্তু আউট করার পরও নির্লিপ্ত ছিলেন তিনি। রোহিতের কাছে একটি বলে বাউন্ডারি হজম করার পর ইনস্যুইংয়ারে পরের বলেই বোল্ড করে দেন হিটম্য়ানকে।

Continues below advertisement

জিও হটস্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিরাজ জানিয়েছেন, ''আমার প্রথম ম্য়াচ একদমই ভাল যায়নি। কিন্তু আমি নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিলাম। রোহিত ভাইয়ের বিরুদ্ধে আমি স্যুইং করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কাজ হচ্ছিল না। কিন্তু তবুও নিজের পরিকল্পনা বদলানাের চেষ্টা করিনি। অবশেষে তাতেই উইকেট চলে আসে। কিন্তু রোহিত ভাইকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। তার জন্যই আমি সেই ম্য়াচে উইকেট পাওয়ার পরও সেলিব্রেশন করিনি।''

বিরাট কোহলির উল্টোদিকে খেলা প্রসঙ্গেও সিরাজ জানিয়েছিলেন, ''আমি আরসিবির জার্সিতে সাত বছর আইপিএলে খেলেছি। আমি দলটাকে খুব ভালভাবে চিনি। বিরাট ভাইকে বলার মুহূর্তেও কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। যদিও তারপর কী হয়েছে সবাই দেখেছে।''

Continues below advertisement

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতীয় স্কোয়ড থেকে বাদ পড়েছিলেন সিরাজ। সেই প্রসঙ্গ টেনে হায়দরাবাদি পেসার বলেন, ''চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারিনি। বাদ পড়েছিলাম। কোথাও না কোথাও মাথায় তা কাজ করছিল আইপিএলে খেলার সময়। আইসিসি ইভেন্ট যে কোনও প্লেয়ারের জন্য বিশাল বড় ব্যাপার। আমাক নিজের খেলায় মন দিতে হত। নিজের স্কিল, নিজের ফিটনেস নিয়ে পরিশ্রম করছিলাম।''

এদিকে, এলিমিনেটরে বুমরার পারফরম্য়ান্স দেখে মুগ্ধ হার্দিক পাণ্ড্য়, ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বুমরার মূল্য বুঝতে মুম্বইয়ের বাড়ির দরের তুলনা টেনে আনেন হার্দিক পাণ্ড্য। তিনি বলেন, 'বিষয়টা খুব সহজ। যখনই মনে হবে ম্যাচ হাত থেকে ফস্কে যাচ্ছে, তখনই বুমরার হাতে বল দিয়ে দাও। ওর থাকাটা আমাদের জন্য় বড় বিলাসিতা। ও অনেকটা মুম্বইয়ের বাড়িগুলির মতো, ওতটাই দামি। আমি স্কোরবোর্ডের দিকে দেখছিলাম আর মনে মনে হিসাব করছিলাম যে শেষের দিকে আমাদের হাতে রান থাকার দরকার। তাই বুমরার ওই সময়ে বোলিংয়ে আসাটা জরুরি ছিল।'