শারজা: রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ। প্রায় গোটা ম্যাচে দাপট দেখিয়েও আচমকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং ধস। সব সামলে রাহুল ত্রিপাঠির বিশাল ছক্কায় অবশেষে স্বস্তি। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দল কেকেআর। শুক্রবার, দশমীর দিন ট্রফির যুদ্ধে অইন মর্গ্যানদের প্রতিপক্ষ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১২ সালে যাদের হারিয়ে প্রথমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেকেআর।


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। নাইট বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে দিল্লি ক্য়াপিটালস আটকে যায় ১৩৫/৫ স্কোরে। রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত শুরু করে কেকেআর। দুই ওপেনার শুভমন গিল ও বেঙ্কটেশ আইয়ার দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন গোটা টুর্নামেন্টে। বুধবারও মাত্র ১২.২ ওভারে ৯৬ রান যোগ করে ম্যাচ কার্যত শেষ করে দিয়েছিলেন দুজনে। ৪১ বলে ৫৫ রান করে আইয়ার যখন আউট হন, ম্যাচ জিততে কেকেআরের ৪৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। হাতে ৯ উইকেট। অতি বড় দিল্লি ভক্তও ভাবতে পারেননি যে, সেখান থেকে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারে তাঁদের দল।


কিন্তু ক্রিকেটকে বলা হয় মহান অনিশ্চয়তার খেলা। আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাট টি-টোয়েন্টি যে প্রতি পদে পদে নাটকীয়তায় ভরা, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল বুধবার। কারণ এরপরই আচমকা ব্যাটিং ধস নামল নাইটদের। এমনকী একটা সময় ১২৩/২ থেকে ১৩০/৭ হয়ে যায় কেকেআর। শেষ ২ বলে জেতার জন্য কেকেআরের দরকার ছিল ৬ রান। পরপর দুই বলে দুই উইকেট পেয়ে তখন দুরন্ত ছন্দে আর অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত তাঁর ওভারের পঞ্চম বলে বিশাল ছক্কা মেরে দলকে ম্যাচ জেতান রাহুল ত্রিপাঠি।


ম্যাচের সেরা হয়েছেন আইয়ার। ৪১ বলে ৫৫ রান করে জয়ের ভিত তৈরি করে দেন তিনি। ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন শুভমন। এক বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় কেকেআর। ফাইনালে তাদের সামনে ধোনির সিএসকে। ২০১২ সালে ফাইনালে যাদের হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল গৌতম গম্ভীরের দল।