MI vs RR Score Live: রাজস্থানের জয়ের হ্যাটট্রিক, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ছয় উইকেটে হেলায় হারাল রয়্যালস
IPL 2024, MI vs RR Score Live: মুখোমুখি লড়াইয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫টি ম্যাচ জিতেছে। রয়্যালসরা জিতেছে ১২টি ম্যাচ। একটি ম্যাচ শেষ হয় অমীমাংসিত।
টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দুই ছক্কা এবং এক চার মেরে দলের জয় সুনিশ্চিত করলেন রিয়ান পরাগ। নাগাড়ে দ্বিতীয় অর্ধশতরান হাঁকালেন রিয়ান পরাগ। তিনি ৩৯ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত রইলেন। ২৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ম্য়াচ জিতল রাজস্থান।
১৪তম ওভারে শতরানের গণ্ডি পার করল রাজস্থান রয়্যালস। রিয়ান পরাগ ৩০ রানে ব্যাট করছেন। শুভম দুবে ছয় রানে ব্যাট করছেন। রাজস্থানের বর্তমান স্কোর ১০১/৪।
ম্যাচ হয়তো মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হাত থেকে ধীরে ধীরে ফস্কে যাচ্ছে, তবে মাধওয়াল কিন্তু বেশ প্রভাবিত করেছেন। তিনি তৃতীয় উইকেট নিলেন। আর অশ্বিনকে ১৬ রানে এঅবার ফেরালেন।
ইনিংসের মাঝপথে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোর ৭৩/৩। শেষ ১০ ওভারে রাজস্থানের জয়ের জন্য আর ৫৩ রানের প্রয়োজন।
শুরু থেকে একেবারেই ছন্দে দেখাচ্ছিল না রাজস্থান রয়্যালস তারকা জস বাটলারকে। শেষমেশ বড় শট মারতে গিয়ে মাধওয়ালের বলে আউট হলেন বাটলার। ১৬ বলে তাঁর সংগ্রহ ১৩ রান। সপ্তম ওভারে ৫০ রানের গণ্ডি পার করল রাজস্থান। সাত ওভার শেষে স্কোর ৫০/৩।
কাট মারতে গিয়ে নিজের উইকেটেই বল মেরে বসলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ১২ রানে তাঁকে সাজঘরে ফেরালেন আকাশ মাধওয়াল। পাঁচ ওভার শেষে রাজস্থানের স্কোর ৪৪/২।
এক তরুণ ক্রিকেটারের উইকেট নিলেন আরেক তরুণ। নিজের আইপিএল অভিষেকটা ভাল করতে পারেননি কুয়েনা মাফাকা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ওভারেই সাফল্য় পেলেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার। দুই চার খাওয়ার পর ১০ রানে যশস্বী জয়সওয়ালকে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন মাফাকা।
প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তুলল ১২৫/৯।
২৪ বলে ১৭ রান করে ফিরলেন টিম ডেভিড। ১৯ ওভারের শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্কোর ১১৫/৯।
১৫ ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে শতরানের গণ্ডি পার করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ডেভিড ১০ ও কোয়েৎজ়া তিন রানে ব্যাট করছেন।
ম্যাচে দ্বিতীয় সাফল্য পেলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ২৯ বলে ৩২ রানে আউট হলেন তিনি। ৯৫ রানে সপ্তম উইকেট হারাল পল্টনরা।
পীযূষ চাওলাকে আগে নামার পরিকল্পনা কাজে দিল না। আবেশ খানের বলে পয়েন্টে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে অনবদ্য ক্যাচ ধরলেন শিমরন হেটমায়ার। ষষ্ঠ উইকেট হারাল মুম্বই। ১২ ওভার শেষে স্কোর ৮৯/৬। দলের হয়ে ক্রিজে উপস্থিত রয়েছেন তিলক বর্মা। তাঁর সংগ্রহ ২৭। নতুন ব্যাটার টিম ডেভিডের সংগ্রহ চার রান।
শুরুতেই নতুন বলে চার উইকেট হারানোর পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ম্যাচে ফেরানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। তিলক বর্মার সঙ্গে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও গড়ে ফেলেছিলেন। তবে পঞ্চম উইকেটে ৩৬ বলে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ ভাঙলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৭৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল মুম্বই।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বার্গারের বলে ১৬ রান তুললেন হার্দিক। মারলেন তিনটি চার। ছয় ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ৪৬/৪।
বোল্টের পর বার্গার। বাঁ-হাতি বোলারদের বোলিংয়ে মুম্বইয়ের টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতৈার কাহিনি অব্যাহত। এবার ১৬ রানে ফিরলেন ঈশান কিষাণ। চার ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ২০/৪। রাজস্থান বোলারদের বোলিং দেখে অভিভূত ধারাভাষ্য দেওয়া সুনীল গাওস্করও। টেস্ট ম্যাচ লেংথে বোলিংয়ের সাফল্য পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত তিনি।
প্রথম ওভারে দুই উইকেট নিয়েছিলেন, নিজের দ্বিতীয় ওভারে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে ফেরালেন ট্রেন্ট বোল্ট। মুম্বই প্রাক্তনীর হাতেই বিধ্বস্ত মুম্বই। তিন ওভার শেষে মুম্বই ১৬/৩।
বাঁ-হাতি বোলারদের বিরুদ্ধে অনেকেই মনে করেন রোহিত শর্মার দুর্বলতা রয়েছে। এমনিও নতুন বল হাতে বর্তমান বিশ্বের সেরা বোলারদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট থাকবেনই। সেই বোল্টের বলেই আউট হলেন রোহিত। কিউয়ি তারকার বিরুদ্ধে ৫২ বলে ৬৯ রান করে এই নিয়ে পঞ্চমবার আউট হলেন রোহিত। ঠিক পরের বলেই নমন ধীরকেও এলবিডব্লু করেন বোল্ট। প্রথম ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ১/২।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেই ২৫০তম আইপিএল ম্যাচে মাঠে নামতে চলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি এতগুলি ম্যাচ খেলেনি। মরশুমের শুরুতে দুই ম্যাচ হারলেও, কিন্তু উদ্বিগ্ন নন পল্টন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য।
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের। বোলারদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান সঞ্জু।
ঐতিহাসিকভাবে রাজস্থান রয়্যালস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে মুখোমুখি লড়াইয়ে কেউই খুব একটা এগিয়ে না থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে কিন্তু পল্টনরাই এই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন। দুই দলের শেষ পাঁচ সাক্ষাৎকারে মুম্বই চারটি ম্যাচ জিতেছে। রাজস্থান জিতেছে একটি।
প্রেক্ষাপট
মুম্বই: দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই পরাজয়। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) পড়ে রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। শিবিরে বিভাজন নিয়ে নানা জল্পনা। একদিকে নাকি রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) গোষ্ঠী। অন্যদিকে, হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) অনুগামীরা। শোনা যাচ্ছে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আগের ম্যাচের শেষে দুই গোষ্ঠীর সমর্থকেরা হাতাহাতিতেও জড়িয়েছেন। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ তাই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ।
আইপিএল সবে শুরু হয়েছে। তবে দুই দল দুই বিপরীত মেরুতে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যেখানে পরপর দু'ম্যাচ হেরেছে, সেখানে রাজস্থান রয়্যালস টানা দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে। সোমবারের ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠে। আর এবারের আইপিএলে ঘরের মাঠে দলগুলি যা দাপট দেখাচ্ছে, তাতে মুম্বইয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর আদর্শ পরিস্থিতি হতে পারে সোমবারই। ওয়াংখেড়েতে নামার আগে হার্দিক ব্রিগেড এটা ভেবেও স্বস্তি পেতে পারে যে, আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাদের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তুললেও, তারাও রান তাড়া করে অবিশ্বাস্য লড়াই করেছিল। এমনকী, ম্যাচে একটা পরিস্থিতি এমনও ছিল যখন মনে হয়েছিল, মুম্বই জিতেও যেতে পারে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রাজস্থানের মিডল অর্ডার ব্যাটিং ও ডেথ বোলিং স্বস্তি দেবে সঞ্জু স্যামসনকে। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে যেরকম বিগহিটারদের ভিড়, তাতে সোমবার তাদের পরীক্ষার মুখে পড়তে হতে পারে। দুই দলই প্লে অফে ওঠার দাবিদার। টুর্নামেন্টের শুরুতেই তাদের প্লে অফ ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তার সময় আসেনি। তবে হারের হ্যাটট্রিক রুখতে মরিয়া থাকবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবির।
রোহিত শর্মার নেতৃত্ব চলে যাওয়া নিয়ে যতটা হইচই হচ্ছে, সেই বিতর্কের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে পাওয়ার প্লে-তে রোহিতের বিধ্বংসী ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম ৬ ওভারকে বলা হয় পাওয়ার প্লে। যখন তিরিশ গজের বৃত্তের বাইরে মাত্র দুজন ফিল্ডার থাকেন। বেশিরভাগ দলই সেই সময় ঝোড়ো গতিতে রান তোলার উদ্দেশে ব্যবহার করে। এবারের আইপিএলে দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লে-তে ২৮ বলে ৫০ রান করেছেন রোহিত। পাওয়ার প্লে-তে স্ট্রাইক রেট ১৭৮.৫৭। ২০১৫ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বছরে যা ছিল ১৫০.৮৪। মুকুট হারানো রোহিতই কি হার্দিকের মুকুটরক্ষার দায়িত্ব নেবেন সোমবার?
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -