ধর্মশালা: বয়স ৪০-র গণ্ডি পার করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ও জানিয়েছেন বহুদিন। তাও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) আইপিএলে ইতিহাস গড়ার পালা অব্যাহত। রবিবাসরীয় সন্ধ্য়ায় ধর্মশালায় ফের এক নজির গড়ে ফেললেন মাহি। 


শৈলশহরে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস (PBKS vs CSK)। ব্যাট হাতে ১৬৯ রানে সিএসকের ইনিংস থেমে গেলেও, অনবদ্য বোলিংয়ে ভর করে ২৮ রানে পাঞ্জাবকে হারিয়ে দেয় হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচে ব্যাট হাতে একদমই নজর কাড়তে পারেননি ধোনি। হর্ষল পটেলের বিরুদ্ধে ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হন তিনি। তবে ব্যাট হাতে ধোনি ধামাকা দেখা না গেলেও, উইকেটের পিছনে ক্যাচ ধরেই নয়া ইতিহাস লিখলেন আইপিএলের সফলতম অধিনায়ক (যুগ্মভাবে)। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ১৫০টি ক্যাচ নিয়ে ফেললেন সিএসকে উইকেটরক্ষক। জীতেশ শর্মার ক্যাচ ধরেই ইতিহাস গড়ে ফেলেন ধোনি। মাহি কিপার হিসাবে মোট ১৪৬টি এবং সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে আরও চারটি, মোট ১৫০টি ক্যাচ ধরে ফেললেন। আইপিএলের মঞ্চে আর কারুর এই কৃতিত্ব নেই। 


বোলাররা কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। হর্ষল, রাহুলরা দুরন্ত বোলিং করে সিএসকেকে মাত্র ১৬৭ রানের মধ্যে আটকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটাররা পারলেন না ভরসা জোগাতে। যার ফলে নিজেদের ঘরের মাঠে সিএসকের বিরুদ্ধে ম্য়াচ হেরে প্লে অফের রাস্তা একেবারে কঠিন করে ফেলল প্রীতি জিন্টার পাঞ্জাব কিংস। ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৯ রানেই থেমে গেল পাঞ্জাবের ইনিংস। দুরন্ত বোলিং করলেন রবীন্দ্র জাডেজা ও মিচেল স্যান্টনার। দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার স্পিনের সামনে কোনও জবাবই ছিল না বেয়ারস্টাে, কারানদের।


প্রভসিমরণ সিংহয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা জনি বেয়ারস্টোকে দ্বিতীয় ওভারে তুষার দেশপাণ্ডে বোল্ড করে দেন বেয়ারস্টোকে। সাত রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর রাইলি রুসোও খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। প্রভসিমরণের সঙ্গে এরপর জুটি বাঁধেন পাঞ্জাবের জার্সিতে চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে ব্যাটিং করা শশাঙ্ক সিংহ। তিনি ২৭ রান করেছিলেন। ২০ বলের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তবে স্যান্টনারের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান শেষ পর্যন্ত। জীতেশ শর্মাও শূন্য় রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহানের পরিবর্তে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সিএসকের জার্সিতে খেলতে নামা সিমরণজিতের শিকার হয়ে। স্যাম কারানও রান পাননি। তিনি সাত রান করে জাডেজার শিকার হন তিনি। তখনই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায় যে এই ম্য়াচ সিএসকে জিততে চলেছে। একমাত্র আশা ছিলেন আশুতোষ শর্মা। তিনিও পারলেন না পাঞ্জাবকে উদ্ধার করতে। তিনিও জাডেজার শিকার হন। লোয়ার অর্ডারে হরপ্রীত ব্রার ও রাহুল চাহার মিলে কিছুক্ষণ ক্রিজে থেকে কিছু রান যোগ করেন পাঞ্জাবের স্কোরবোর্ডে। কিন্তু তা জয়ের জন্য কখনওই যথেষ্ট ছিল না।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: ম্যাচে তাঁকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন, ম্যাচ শেষে সেই কোহলির থেকেই বিশেষ উপহার পেলেন নুর