মুম্বই: শুরুটা ভাল হয়নি। প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস (Lucknow Super Giants)। তবে নিকোলাস পুরান (Nicholas Pooran) এবং কেএল রাহুলের (KL Rahul) দৌরাত্ম্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটের বিনিময়ে ২১৪ রান তুলল লখনউ। রাহুল ৫৫ ও নিকোলাস পুরান ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিন উইকেট নেন লঙ্কান ফাস্ট বোলার নুয়ান থুসারা (Nuwan Thusara)। পীযূষ চাওলাও(Piyush Chawla) তিন উইকেট নেন।


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। ব্যাট করতে নেমে দেবদত্ত পাড়িক্কাল থুসারার বলে খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। তবে মার্কাস স্টোইনিস এবং কেএল রাহুল ইনিংসের হাল ধরেন। দুইজনে বেশ ভালভাবেই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৪৮ রান যোগও করে ফেলেন তাঁরা। তবে নিজের প্রথম ওভারেই স্টোইনিসকে এলবিডব্লু আউট করেন পীযূষ চাওলা। ২৮ রানে ফেরেন অজ়ি তারকা। দীপক হুডাকে ১১ রানে ফেরান পীযূষই। ইনিংসের প্রায় মাঝপথে ৬৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে লখনউ।


এরপর রাহুলকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন নিকোলাস পুরান। রাহুলের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রেকর্ড ঈর্ষণীয় বললেও কম বলা হয়। তিনি শেষ চার ইনিংসে তিনি যথাক্রমে ৯৪, ১০০, ১০৩, ১০৩ রান করেছেন পল্টনদের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচেও ফের একবার তাঁর ব্যাট জ্বলে উঠল। পুরান ও রাহুল পার্টনারশিপের শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করেছিলেন। তবে ১৩তমওভার থেকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন পুরান। অনশূল কম্বোজের বিরুদ্ধে ২২ রান তোলেন পুরান। তার পরের ওভারে ১৫ ও তার পরের ওভারে ওঠে ২৯ রান।


দেখতে দেখতে মাত্র ১৯ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। অর্ধশতরান পূরণ করেন রাহুলও। শেষমেশ থুসারা শতরানের তৃতীয় উইকেটের পার্টনারশিপ ভাঙেন। পুরানকে আউট করার পরের বলেই আরশাদ খানকেও ফেরান তিনি। রাহুলকে আউট করেন পীযূষ চাওলা। শেষের দিকে আয়ুষ বাদোনির ২২ ও ক্রুণাল পাণ্ড্যর ১২ রানের ইনিংসে দুশো রানের গণ্ডি পার করে ফেলে লখনউ। নিজেদের শেষ ম্যাচ জিততে মুম্বইয়ের জন্য লক্ষ্যটা যে বেশ কঠিন, তা বলাই বাহুল্য।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: পছন্দ ক্রিকেট! ইতিমধ্যেই ব্যাট ঘোরানো শুরু করে দিয়েছেন বিরুষ্কা কন্যা, জানালেন কোহলি নিজেই