মুম্বই: ম্যাচ শুরুর আগেই ধাক্কা খেয়েছিল পাঞ্জাব কিংস (PBKS)। জানা গিয়েছিল, চোটের কারণে খেলতে পারবেন না পাঞ্জাবের অধিনায়ক ময়ঙ্ক অগ্রবাল (Mayank Agarwal)। তাঁর পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দেন শিখর ধবন (Shikhar Dhawan)। সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারল না পাঞ্জাব। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH) তাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল। সেই সঙ্গে টানা ৪ ম্যাচ জিতে ৮ পয়েন্ট সব টেবিলে চার নম্বরে উঠে এলেন কেন উইলিয়ামসনরা। জমিয়ে দিলেন প্লে অফের লড়াই।
শুরুতেই ধাক্কা
অধিনায়কের না থাকা যেন মানসিকভাবেও কাবু করে ফেলল পাঞ্জাব কিংস শিবিরকে। রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্য়াট করে ১৫১ রানে অল আউট হয়ে গেল পাঞ্জাব। হায়দরাবাদের বোলারদের দাপটের মধ্যে ব্যাট হাতে লড়াই করলেন শুধু লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩৩ বলে ৫টি চার ও চারটি ছক্কা মেরে ৬০ রান করলেন তিনি। পাঞ্জাব ব্যাটারদের আর কেউই নজর কাড়তে পারেননি।
চেনা ফর্মুলা
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। চলতি আইপিএলে কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছে। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। উইলিয়ামসনও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেননি।
ছন্দে ভুবিরা
ম্যাচে শুরু থেকেই দাপট দেখান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলাররা। তৃতীয় ওভারেই শিখর ধবনকে তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। তার ১৩ বল পরেই প্রভসিমরন সিংহকে ফেরান টি নটরাজন। জনি বেয়ারস্টোকে মাত্র ১২ রানে ফিরিয়ে দেন জগদিশা সূচিথ। জিতেশ শর্মাকে ফিরিয়ে দেন উমরন মালিক। একটা সময় ৮ ওভারে ৬১/৪ হয়ে গিয়েছিল পাঞ্জাব। সেখান থেকে লিভিংস্টোন ও শাহরুখ খান (২৮ বলে ২৬ রান) কিছুটা লড়াই করেন।
নাটকীয় শেষ ওভার
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে শেষ ওভার বল করতে আসেন উমরন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যিনি চলতি আইপিএলে দ্রুততম। শেষ ওভার মেডেন দেন তিনি। সেই সঙ্গে পড়ে চার উইকেট। যার মধ্যে তিনটি উইকেট নেন উমরন। একটি রান আউট। ১৫১/৬ থেকে ১৫১ রানেই অল আউট হয়ে যায় পাঞ্জাব।
দুরন্ত জবাব
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান উইলিয়ামসন। মাত্র ৩ রান করে। কিন্তু অভিষেক শর্মা (২৫ বলে ৩১ রান) ও রাহুল ত্রিপাঠি (২২ বলে ৩৪ রান) পাল্টা লড়াই শুরু করেন। পরে সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ঝড় তোলেন এইডেন মারক্রাম (২৭ বলে ৪১ নঃ আঃ) ও নিকোলাস পুরান (৩০ বলে ৩৫ রান নঃ আঃ)। ৭ বল বাকি থাকতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।
আরও পড়ুন: অ্যাসিডে দগ্ধ শ্বাসনালী, দশ বছর পর ময়দানে ফিরে তাক লাগালেন রায়না-পাঠানদের সতীর্থ