ভাস্কো দা গামা: সাত নম্বর ম্যাচেও লাল-হলুদের ভাগে শুধুই হতাশা। আইএসএলের অভিযান শুরুর প্রথম সাতটি ম্যাচ পেরিয়ে গেলেও জয়ের রাস্তার খোঁঝ পেল না ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইয়ান এফসি-র কাছে আইএসএলে তাদের বছরের শেষ ম্যাচে ২-২ গোলে হোঁচট খেল রবি ফাউলারের দল। আর ম্যাচ শেষে দল নিয়ে অপ্রিয় প্রশ্নে ফের মেজাজ হারালেন লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ।


দলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ভীষণ খারাপ হলেও এদিনের লড়াই তাঁর দলকে নিশ্চয়ই কিছুটা অক্সিজেন দেবে জানতে চাইলে ফুঁসে উঠে ফাউলার বলেন, ‘আমি জানি আমার দল খুব একটা শক্তিশালী নয়। কিন্তু বারবার নেতিবাচক দিকগুলো কেন তুলে ধরছেন? ছেলেরা তো সীমিত সামর্থেই লড়াই করছে, ইতিবাচক দিকগুলো দেখুন না।' এমনিতেই একাধিক ফুটবলারকে একটাও ম্যাচে খেলার সুযোগ না দিয়েই দল থেকে তাঁর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতি সপ্তাহে যথেষ্ট বিতর্ক পোহাতে হয়েছে ফাউলারকে।

এটিকে মোহনবাগানের কাছে আইএসএল অভিযানের একেবারে প্রথম ম্যাচে হার সহ চার ম্যাচে হেরেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই নিয়ে তাদের ড্র তিন নম্বর ম্যাচে। তাও মাতি স্টিনম্যানের একক দক্ষতায়। ম্যাচের সেরা স্টিনম্যান ৫৯ মিনিটে দুরন্ত হেডে ও ৬৮ মিনিটে সুযোগের সদব্যবহার করে জার্মানির মিডফিল্ডার দুটো গোল না করলে হয়তো এদিনও হারের মুখ দেখতে হত ইস্টবেঙ্গলকে।

খেলা শুরুর ১৩ মিনিটের মধ্যেই ফের একবার লাল-হলুদ রক্ষণভাগকে অনাবৃত করে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে দুবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ানকে এগিয়ে দেন। যে গোলের মতোই ৬৪ মিনিটে রহিম আলি তাদের হয়ে দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও কাঠগড়ায় উঠবে সেই ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণই।

লাল-হলুদ দ্বিতীয় গোলহজমের ক্ষেত্রে বিকাশ জাইরুকে কার্যত কাঁধের টোকায় কাটিয়ে গোল করে যান রহিম। অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোলটি বিকাশের ফ্রি-কিক থেকেই। তবে মাপা ফ্রি-কিক মাথায় পেতে যেভাবে পাঁচজনকে টপকে আসেন স্টেইনম্যান, তাতে তাঁর কৃতিত্ব অনেক বেশি। বক্সে জড়ামড়িতে ৬৮ মিনিটে তাঁর দ্বিতীয় গোল।

দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় আক্রমণের রেশ অনেক বেশি দেখা গেলেও আরও একবার গোলের সামনে গিয়ে খেই হারান তারা। শুরুর দিকে মহম্মদ রফিক একটি সহজ সুযোগ ফসকান। অপরদিকে চেন্নাইয়ানের একটি প্রয়াস পোস্টে লেগে না ফিরলে ফাউলারের গুসসা আরও একটু বাড়তেই পারত।

সবমিলিয়ে যাবতীয় বাধাবিপত্তি কাটিয়ে আইএসএলের মঞ্চে খেলার সুযোগ করে নিলেও চলতি বছরের পারফরম্যান্স ভুলে যেতে চাইবেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। আগামী বছরে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়ায় কি না, সেটাই দেখার। ফাউলার অবশ্য আশাবাদী। বলছেন, ‘আমরা ম্যাচ জিতব, আরও ভালো ফুটবলও খেলব। একটু সবুর করুন।’

সমর্থকরা অবশ্য অপ্রিয় প্রশ্নটা তোলা শুরু করে দিয়েছেন, অপেক্ষা আর কতদিন!