রাঁচি: অভিষেক টেস্টেই নজর কেড়ে নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিম। রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর প্রথম শিকার তেম্বা বাভুমা। শাহবাজ জানিয়েছেন, অভিষেকের মঞ্চে তিনি স্নায়ুর চাপ টের পাচ্ছিলেন। তবে তিন বল পরই সেই চাপ কেটে গিয়েছিল।

ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার নাদিম। ঘরের মাঠে টেস্ট অভিষেক। সোমবার দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের নাদিম বলেছেন, ‘আমি উত্তেজিত ছিলাম। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে পরে মনোনিবেশ করি ম্যাচে আমার দায়িত্বের ওপর। প্রথম তিন বলে স্নায়ুর চাপ ছিল। বিশেষ করে রান আপ ধরে দৌড়নোর সময়। তবে চার নম্বর বল থেকে সেই চাপ কেটে যায়।’

১৫ বছরে ১১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক। রোমাঞ্চিত নাদিম। বলেছেন, ‘এত বছর ক্রিকেট খেলার পর ভোর ৪টেয় ফোন করে বলা হলে সকাল ৬টায় মাঠে নেমে যাওয়া উচিত। শুক্রবার দুপুর আড়াইটের সময় আমি নমাজ পড়ছিলাম যখন ফোন বেজে ওঠে। নমাজ শেষ করে দেখলাম আমাকে টেস্ট ম্যাচের দলে ডাকা হয়েছে। কলকাতা থেকে সড়কপথে পৌঁছই।’ আপাতত কলকাতাই নাদিমের ঠিকানা।




কেরিয়ার নিয়ে নাদিমের পর্যবেক্ষণ, ‘এখনও পর্যন্ত দারুণ সফর। অনেক পরিশ্রম করে এখানে পৌঁছেছি। ক্রিকেটার হিসাবে এতজনকে টিভিতে দেখার পর নিজেকেও সেই জায়গায় দেখতে ইচ্ছে করে। আমিও স্বপ্ন দেখতাম লোকে টিভিতে আমার পারফরম্যান্স দেখুক। এটা দারুণ অনুভূতি।’ নাদিম যোগ করেছেন, ‘শুধু আইপিএল নয়, প্রচুর ইন্ডিয়া এ ম্যাচও খেলেছি আর তাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের নিয়ে একটা ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলের ৪-৫জন ক্রিকেটার এ দলের হয়ে সম্প্রতি ভারত সফরে খেলে গিয়েছিল।’

তবে আরও কার্যকরী হয়ে উঠতে নিজের বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করতে চান ৩০ বছরের বাঁহাতি স্পিনার। নাদিম বলেছেন, ‘ফলো থ্রু নিয়ে পরিশ্রম করছি। শরীরের ওজন যাতে বোলিং অ্যাকশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সেই চেষ্টাও করছি।’