নয়াদিল্লি: এবারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে অবসর নেওয়া অম্বাতি রায়াডুর পাশে দাঁড়ালেন যুবরাজ সিংহ। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘ওরা রায়াডুর সঙ্গে যে আচরণ করেছে সেটা দেখে হতাশ হয়েছি। ও বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে ছিল। নিউজিল্যান্ড সফরে ও রান পেয়েছিল। কিন্তু তিন-চারটি খারাপ ইনিংসের পরেই ওকে বাদ দেওয়া হয়। তারপর ঋষভ (পন্থ) দলে এল এবং ওকেও বাদ দেওয়া হল। যদি একদিনের আন্তর্জাতিকে চার নম্বর জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়, সেই জায়গায় যদি কারও কাছ থেকে ভাল পারফরম্যান্স আশা করা হয়, তাহলে তার পাশে দাঁড়াতে হবে। সবসময় ভাল খেলতে না পারলেই কাউকে বাদ দেওয়া যায় না। রায়াডু অবসর নেওয়ায় আমার খারাপ লাগছে। গোটা পরিস্থিতি যেভাবে সামলানো হয়েছে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’


এবারের বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ভাবা হচ্ছিল রায়াডুকে। কিন্তু বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তাঁর বদলে চূড়ান্ত দলে সুযোগ পান বিজয় শঙ্কর। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছিল রায়াডুকে। কিন্তু শিখর ধবন ও বিজয় চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরেও তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। ক্রিকেটমহলের ধারণা, সেই হতাশা থেকেই অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন রায়াডু।

এ প্রসঙ্গে যুবরাজ বলেছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের কোনও একজনকে তৈরি করা উচিত ছিল। চার নম্বরে কেউ যদি ব্যর্থ হত, তাহলে টিম ম্যানেজমেন্টের তাকে বলা উচিত ছিল যে সে বিশ্বকাপে খেলবে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের আগেও আমরা নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিলাম। সেই সফরে সবাই ব্যর্থ হচ্ছিল। কিন্তু সেই দলই বিশ্বকাপ খেলে। এবারের বিশ্বকাপে চার নম্বরে আমাদের একজন ভাল ব্যাটসম্যান দরকার ছিল। কিন্তু তার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টের কী পরিকল্পনা ছিল সেটা বোঝা যায়নি। দীনেশ কার্তিককেও চার নম্বরে খেলানো হয়। তারপর ফের ঋষভকে সুযোগ দেওয়া হয়। ও ভাল খেলে। সবাই জানত যে রোহিত (শর্মা) ও বিরাট (কোহলি) শুরুতে ফিরে গেলে আমরা সমস্যায় পড়ব। কিন্তু সেটা আটকানোর জন্য কী পরিকল্পনা ছিল জানি না।’