‘বাড়ির লোকজন বিশ্রাম নিতে বললেও, তাঁকে হয়তো দ্রুত কাজে ফিরতে দেখা যাবে। কারণ, এটাই তাঁর স্বভাব। ৩২টা ব্র্যান্ডের এন্ডোর্সমেন্ট করে তিনি বছরে ৯০ কোটি টাকা আয় করেন। প্রতিটি ব্র্যান্ডের জন্য বছরে তিন-চারদিন করে সময় দিতে হয়। এতেই লেগে যায় ১৩০ দিন। এছাড়া দাদাগিরির শ্যুটিং আছে, বিসিসিআই-এর সভাপতি হিসেবে কাজ আছে, নিজের ব্যবসাও আছে। সব দায়িত্বই ভালভাবে পালন করতে চান সৌরভ।’
এই প্রসঙ্গে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। ২০১১ সালে লর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন মধ্যাহ্নভোজের সৌরভ আমাকে বলেন, ‘তুই দ্রুত আমাকে একটা কলাম লিখে দিতে পারবি? সেই সময় তিনি স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের জন্য কলাম লিখতেন। আমি বললাম, তুমি আমাকে আইডিয়াটা বলে দাও, আমি লিখে দেব। আমার মনে হয়েছিল, তিনি প্রচণ্ড ব্যস্ত। তাই আমাকে লিখে দিতে বলছেন। কিন্তু তিনি বললেন, আমি বলে যাব, তুই ল্যাপটপে টাইপ কর। তার মানে তিনি নিজের কাজ নিজেই করেন। তাঁর এই প্রবণতা আছে। তিনি নিজের কলামের প্রতিটি লাইন লেখেন। তিনি কোনও টিভি চ্যানেলের হয়ে কাজ করলে সপ্তাহের শেষে জানতে চান, টিআরপি ঠিক আছে তো? কাজের প্রতি নিষ্ঠার জন্যই তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পক্ষে গুটিয়ে থাকা মুশকিল। সেই কারণেই বাড়ির লোকজন চিন্তায়। সবাই চাইছেন, সৌরভ বিশ্রাম নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে তারপর কাজে ফিরুন। কিন্তু আর পাঁচজন প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতো জীবনযাত্রা সৌরভের নয়। সেই কারণেই অনেকে তাঁকে রাজনীতিতে চাইছে। কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সৌরভই। বিজেপি চাইবে সৌরভ রাজনীতিতে আসুন, আবার তৃণমূল চাইবে না তিনি আসুন। এই নিয়ে টানাপোড়েন চলতে থাকবে। তবে আগামী কয়েকদিন সৌরভ কেমন থাকেন, সেটাও দেখতে হবে। তিনি কত তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন, সেটাই এখন দেখার। রাজনীতিতে যোগ দেবেন কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে তাঁকে ঘরে আটকে রাখা মুশকিল। কারণ, তিনি সবসময় নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন।’