করাচি: প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়াকে নিয়ে চলতি বিতর্কে মুখ খুললেন পাক দলের প্রাক্তন অধিনায়ক জাভেদ মিঁয়াদাদ। কানেরিয়ার সঙ্গে দলে  ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের  অভিযোগ নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান।    এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন পাক স্পিনারের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কেই প্রশ্ন তুললেন মিঁয়াদাদ। তাঁর দাবি, টাকার জন্য কানেরিয়া যা কিছুই বলতে পারে। প্রাক্তন পাক ব্যাটসম্যান বলেছেন, 'ভাবতে অবাক লাগছে যে, দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ ক্রিকেটারের কথায় লোকে বিশ্বাস করছে'।
মিঁয়াদাদ বলেছেন, 'ওরা কী পেতে চাইছে, আমি বুঝতে পারছি না। কানেরিয়ার কথা যদি জানতে চান, তাহলে ও টাকার জন্য যা কিছুই বলতে পারেন। ক্রিকেটে তার আর কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই'।
ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য নির্বাসিত হন কানেরিয়া।
মিঁয়াদাদ বলেছেন, 'ক্রিকেটে দুর্নীতির জন্য যে আজীবন নির্বাসিত হয়েছে, তার মতো কাউকে কীভাবে বিশ্বাস করা যায়? দেশের নাম  কে ডুবিয়েছে? ২০০০-এর শুরুর দিকে আমি পাকিস্তানের হেড কোচ ছিলাম এবং কানেরিয়া দলে ছিল। ও হিন্দু হওয়ায় কোনও সমস্যার একটি ঘটনাও আমার মনে পড়ছে না'।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় বিশ্বাসের নিরিখে পাক ক্রিকেট দলে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছিল কানেরিয়াকে। এই চাঞ্চল্যকর দাবি টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে করেছিলেন প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার। আখতার দাবি করেন যে, কয়েকজন পাক ক্রিকেটার তো কানেরিয়ার সঙ্গে খেতেও অস্বীকার করত।
মিঁয়াদাদ এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'সংখ্যালঘুদের নিয়ে কোনও কুসংস্কার থাকত তাহলে কানেরিয়া পাকিস্তানের হয়ে খেলতে পারত না।
মিঁয়াদাদ বলেছেন, পাকিস্তান তাকে প্রভূত স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ও ১০ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে। ধর্ম নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে এটা কী সম্ভবপর হত।
মিঁয়াদাদ আরও বলেছেন, কানেরিয়া যখন খেলত, তখন পাকিস্তানের দলে ইমরান তাহির (পরে যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেন), আলি হুসেন রিজভি এবং মনসুর আমজাদকে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তখন কানেরিয়াকেই দলে নেওয়া হত। ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার হলে এটা কীভাবে সম্ভব হল'।
মিঁয়াদাদের দাবি, দেশজুড়ে বিক্ষোভকে খাটো করে দেখাতে ভারতীয়রা এই বিষয় নিয়ে জল্পনা করছেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তান ক্রিকেটে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য করা হয় না।