ভুবনেশ্বর: কলিঙ্গ সুপার কাপে ডার্বিতে জ্বলল মশাল। মোহনবাগানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিল লাল হলুদ ব্রিগেড। পিছিয়ে থেকেও ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ ব্যবধানে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটো গোল করে লাল হলুদের ফুটবলাররা। ম্য়াচে জোড়া গোল করেন ক্লেটন সিলভা। আর এই জয়ের ফলে সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।


প্রথমার্ধে ১-১ ছিল খেলার স্কোরলাইন। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। খেলার ৬৩ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয গোল ইস্টবেঙ্গলের। এবার গোল পেলেন নন্দকুমার। রবি রানারর ভুলের খেসারত দিতে হল সবুজ মেরুনকে। ২-১ গোলে এগিয়ে গেল লাল হলুদ ব্রিগেড। খেলার ৮০ মিনিটের মাথায় ক্লেটন সিলভা নিজের দ্বিতীয় ও ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় গোলটি করলেন। এর মাঝে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি। খেলার ৮০ মিনিটের মাথায় মাঠের ডানপ্রান্ত থেকে মোহনবাগান বক্সের মধ্যে থাকা হিজাজিকে লক্ষ্য করে ক্রস। আহামরি হেডার নয়। সহজেই বলটা ধরে নেওয়ার কথা ছিল মোহনবাগান গোলকিপারের। কিন্তু বলটা ফস্কে দেন। তার সুযোগসন্ধানীর মতো গোল করে যান ক্লেইটন। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ১-৩ ইস্টবেঙ্গল।


 






এরপর খেলার ৮ মিনিটের মাথায় কর্নার পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন সিলভার দুর্বল ব্যাকহিল থেকে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার গোলমুখ খুলতে পারলেন না। অভিষেক বল ক্লিয়ার করে দিলে লাল হলুদ কর্নার পায়। খেলার ১৩ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় সবুজ মেরুন। ১৬ মিনিটের মাথায় নাসিরি চেষ্টা করেছিলেন গোল করার। কিন্তু গোল পাননি। এরপর ১৯ মিনিটের মাথায় গোল করলেন হেক্টর ইউস্তে। দিমিত্রি পেত্রাতসের কর্নার কিক থেকে অসাধারণ ফ্লিকে বল লাল হলুদের জালে জড়ান ইউস্তে। ২৪ মিনিটের মাথায় ক্লেটন সিলভার গোলে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। ৩৩ মিনিটের মাথায় সৌভিক চক্রবর্তীকে ফাউল গ্লেন মার্টিন্সের। হলুদ কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়। ৩৮ মিনিটের মাথায় হুগৌ বুমোসকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখলেন ক্রেসপো। প্রথমার্ধের শেষে পেনাল্টি পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন পেনাল্টি ফস্কে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।