মুম্বই: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই শুভমন গিলের চোট চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় শিবিরে। টিম ম্যানেজমেন্ট বদলি হিসেবে পৃথ্বী শ’র নাম ভাবনা চিন্তা করছে। কিন্তু এতেই ক্ষুব্ধ কপিল দেব। জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে নেই এমন কাউকে ডাক দেওয়ার ঘোর বিরোধী তিনি। এমনকী পৃথ্বীকে ডাকা হলে দলে থাকা আরও ২ ক্রিকেটার ময়ঙ্ক অগ্রবাল ও লোকেশ রাহুলকে অপমান করা হবে বলেই মনে করছেন কপিল।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার সময়ই পায়ের হাড়ে চোট পান শুভমন। শ্রীলঙ্কা সফরে খেলতে যাওয়া পৃথ্বীকে তাঁর বিকল্প হিসেবে ডেকে নিয়ে আসার ভাবনা চিন্তা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচ রবি শাস্ত্রী। আর এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে কিংবদন্তি ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার মনে হয় নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত। পৃথ্বীকে শুভমনের বিকল্প হিসেবে ডাকার কোনও দরকার নেই বলেই আমার মনে হয়। নির্বাচকরা একটা দল বেছেছিল। এছাড়াও স্কোয়াডে রাহুল ও ময়ঙ্ক রয়েছে। এমনটা হলে ওদেরও তো অপমান করা হবে।’
শুধুই ময়ঙ্ক ও রাহুল নয়। বাংলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণও রয়েছেন জাতীয় দলের ব্যাক আপ প্লেয়ারের তালিকায়। ইংল্যান্ডেই রয়েছেন অভিমন্যু। তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘নির্বাচকরা যখন একটা দল বাছেন, তখন তাঁরা ব্যাক আপ ক্রিকেটারও বাছাই করেন স্কোয়াডে। কিন্তু এরপরও যদি বাইরে থেকে কাউকে ডাকা হয়, তখন কিন্তু দলের জুনিয়র ক্রিকেটারদের অপমান করা হবে।’ শাস্ত্রী ও কোহলির দিকেই যে তাঁর নিশানা, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন কপিল দেব তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে। কপিল বলেন, ‘দল নির্বাচন, ক্রিকেটার কে দলে থাকবে তা নিয়ে নিজেদের মতামত রাখতেই পারেন কোচ ও অধিনায়ক। কিন্তু কখনওই তা নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে অপমান করে নয়। আমি অন্তত এমনটা কখনওই সমর্থন করি না।’
উল্লখ্য, গত বছর অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টে অ্যাডিলেডে শেষবার দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন পৃথ্বী। যদিও ম্যাচের ২ ইনিংসেই ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা সফরের জাতীয় দলে রয়েছেন তরুণ এই মুম্বই ওপেনার। কপিল দেবের মত ব্যক্তিত্বের মন্তব্যের পর ইংল্যান্ড সফরের স্কোয়াডে আদৌ ডাক পান কিনা পৃথ্বী তা এখন দেখার।