কলকাতা: আরও একবার তীরে এসে তরী ডুবল বাংলা ক্রিকেট দলের। রঞ্জিতে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ। সেমিতেই শেষ হয়ে গেল অভিমন্যু, মনোজদের দৌড়। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে শেষ চারের লড়াইয়ে হেরে রঞ্জি থেকে বিদায় নিতে হল অরুণ লালের দলকে। ৩৫০ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৫ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। অর্ধশতরান করেও দলকে বাঁচাতে পারলেন না অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। অন্য়দিকে মধ্য়প্রদেশের কুমার কার্তিকেয় দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৫ উইকেট তুলে ভেঙে দিলেন বাংলা দলের ব্য়াটিং মেরুদণ্ড। ১৭৪ রানে জিতে গেল মধ্যপ্রদেশ। ফাইনালে তাদের সামনে মুম্বই। 


কাজে এল না অভিমন্যুর অর্ধশতরান


গতকালই মোটামুটি ম্যাচের দেওয়াল লিখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে আজ খেলতে নেমেছিল বাংলা দল। ক্রিজে ছিলেন অভিমন্যু ও আগের ম্য়াচে শতরানকারী অনুষ্টুপ মজুমদার। বাংলার জার্সিতে ক্রাইসিস ম্যান তিনি। এদিনও তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা শিবির। কিন্তু অনুষ্টুপ মাত্র ৮ রান করেই ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গেলেন। উল্টোদিক থেকে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিমন্যু। শাহবাজকে সঙ্গে নিয়ে ছোট্ট একটা পার্টনারশিপও গড়েন। কিন্তু অভিমন্যুকে ফিরিয়ে নিজেদের জয়ের পথ আরও সোজা করে দেন কুমার কার্তিকেয়। ১৫৭ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলা অধিনায়ক। এরপর বাংলার হার ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২২ রানে অপরাজিত থেকে যান শাহবাজ আহমেদ। লোয়ার অর্ডারে তেমন কেউই বিশেষ কিছু করতে পারেননি। সায়ন মণ্ডল ১, প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৫ ও আকাশ দীপ ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। 


১৯৮৯-৯০ মরসুমে শেষবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০২০-২১ মরসুমে ফাইনালে উঠেছিল বাংলা দল। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে সেবার সেমিতে জয় পেয়েছিল অরুণ লালের দল। ফাইনালে যদিও সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হারতে হয় তাদের। এবার সেমির দরজাই টপকাতে পারল না বাংলা। ফের একরাশ হতাশা সঙ্গী করেই রঞ্জি থেকে বিদায় নিতে হল মনোজ, অনুষ্টুপ, অভিমন্যুদের।


আরও পড়ুন: টেস্টের ইতিহাসে সর্বপ্রথম প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক, মিয়াঁদাদকে যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন পাঠান