১৯৯৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন ইউসুফ। সেই সময় সচিন, দ্রাবিড় ও লক্ষ্মণ দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। তাঁদের বিপক্ষে খেলেছেন ইউসুফ। তাঁর মতে, তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে মানের বোলাররা ছিলেন, বর্তমান সময়ের বোলাররা সেই মানের নন। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শেন ওয়ার্ন, ভারতের অনিল কুম্বলে ও জাভাগল শ্রীনাথের মতো বোলাররা ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং লাইনআপও দুর্দান্ত ছিল। শ্রীলঙ্কা মুথাইয়া মুরলীধরনের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল ছিল। এখন আর সেই বোলাররা নেই। তাছাড়া এখন সব দেশেই পিচ কম-বেশি একই ধরনের। নিয়মও ব্যাটসম্যানদের সহায়ক। ফলে খেলা বদলে গিয়েছে।
সচিন, দ্রাবিড়দের চেয়ে বিরাটকে পিছিয়ে রাখার কারণ হিসেবে ইউসুফ বলেছেন, দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একই ধরনের পিচে খেলে ভুরিভুরি রান করছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক। ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার, ইউনিস, শোয়েব আখতার, সাকলিন মুস্তাকের মতো বোলারের বিরুদ্ধে রান করা সহজ ছিল না। সচিন, দ্রাবিড়রা সবসময় নিজেদের খেলার মান উন্নত করার চেষ্টা করতেন। এখন সময় বদলে গিয়েছে।
ব্যাটসম্যান কোহলিকে সচিনদের সারিতে রাখতে রাজি না হলেও, তাঁর আগ্রাসী মেজাজে ভুল দেখছেন না ইউসুফ। এক্ষেত্রে তিনি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। ২২ গজে ভারত-পাক লড়াই প্রসঙ্গে ইউসুফ বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে তাঁদের অনেক কঠিন ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে তাঁরা উত্তেজিত থাকতেন। তবে দিনের শেষে ভাল পারফরম্যান্সের তারিফ করতেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকত।